রাজশাহীর বাঘায় একটি প্লাস্টিকের গোডাউনে আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন গোডাউন মালিক মুনসুর রহমানসহ ৭ জন। তারা স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট এসে এ আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার তেপুকুরিয়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তেপুকুরিয়া গ্রামের মো. শিমুল হোসেন, মাজদার রহমান, আবু সাইদ বিটেন ও মোস্তাক আহাম্মেদ জানান, শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে আকস্মিকভাবে ওই গ্রামে অবস্থিত মুনসুর রহমানের প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুনের ধোঁয়া দেখা যায়। এরপর মুহূর্তের মধ্যে এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। এ সময় থানা পুলিশ এবং বাঘা ফায়ার স্টেশনে ফোন করলে কিছু সময়ের মধ্যে বাঘা ফায়ার স্টেশনের লোকজন চলে আসে। এর কিছু সময়ের মধ্যে পার্শ্ববর্তী চারঘাট, পুঠিয়া এবং লালপুর থেকেও ফায়ার ডিফেন্সের লোকবল এসে উপস্থিত হন। অতঃপর গ্রামের লোকজনসহ চারটি ফায়ার স্টেশনের লোকজন মিলে এই আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। এতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হয়।
এদিকে ভয়াবহ আগ্নিকাণ্ড নেভাতে গিয়ে আগুনের তাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন গোডাউন মালিক মুনসুর রহমান (৩৫), ইনছার আলী (৫০) ইয়াজুল ইসলাম (৩৭) আয়ুব আলী (৩৪) রেজাউল করিম (৩৬) আমিরুল ইসলাম (১৯) ও সবুজ রানাসহ (২২)। তাদের মধ্যে ৭ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক হুমাইয়া জেরিন।
এ বিষয়ে গোডাউন মালিক মুনসুর রহমান মুর্ছা জেতে জেতে বলেন, আমি আমার মামার সাথে প্রায় ১৫ বছর ধরে পাটনারশিপে আম, বরই ও পেয়ারাসহ কাঁচা ফলমুল বাজারজাত করণের জন্য প্লাস্টিকের ক্যারেট (ঝুরি), খবরের কাগজ (পেপার) ও মোটা কাগজের বক্স (কাটুন) এর ব্যবসা করে কিছু টাকার মালিক হয়ে ছিলাম। কিন্তু আল্লাহপাক আজ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। তবে এই আগুন কিভাবে লেগেছে এ বিষয়ে তিনি তাৎক্ষনাত কিছুই বলতে পারেননি।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, আগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে চারটি ফায়ার স্টেশানে ফোন করে আমি ঘটনাস্থালে যাই। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলুও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে বাতাস না থাকায় পার্শ্ববর্তী লোকজন রক্ষা পেয়েছেন। এ ক্ষতি অপূরণীয় বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
রাজশাহী ফায়ার স্টেশনের উপ-পরিচালক ওহিদুর ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলের পাশে একটি পুকুর থাকায় অতি দ্রুত আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। এই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করেছেন বাঘা, চারঘাট, পুঠিয়া ও লালপুর ফায়ার স্টেশনের লোকবল।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ