ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই চক্রের সদস্যরা দিনের বেলা সাধারণ পেশায় কাজ করলেও রাতের আঁধার নামতেই হয়ে উঠেন দুর্ধর্ষ ভয়ঙ্কর ডাকাত।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার সময় এক প্রেস ব্রিফিং-এ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন আল রশিদ।
মামুন আল রশিদ বলেন, ঢাকা মাওয়া ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের বগাইল টোলপ্লাজার নিকটে পূর্ব হাসমদিয়া সার্ভিস রোডের ব্রিজের নিচ থেকে ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভাঙ্গা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাকিব হোসেন ও উপ-পরিদর্শক পরিতোষ মজুমদারের নেতৃত্বে একটি অভিযান চালানো হয়। এ সময় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যান্য ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ফরিদপুরে ভাঙ্গা উপজেলার পূর্ব হাসমদিয়া এলাকার মো. আব্বাস আলী সেখের পুত্র জসীম শেখ (৩২), হাজরাহাটি এলাকার সেকুম আলীর পুত্র কলাচান খয়রাতি (২১), পশ্চিম হাসাদিয়া এলাকার ওবায়দুল মিয়ার পুত্র সাকিব মিয়া (২৫), আতাদী এলাকার মৃত শেখ খোকার পুত্র রুবেল শেখ (৩৫), গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার তৈয়দুল শেখের পুত্র মামুন শেখ (৩০), ঝালুকাটির নলছিটি উপজেলার সৃর্যপাশা গ্রামের মৃত আবুল মিয়ার পুত্র তরিকুল ইসলাম (৩০)।
মামুন আল রশিদ বলেন, এ সময় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সদস্যদের ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি রানদা, ১টি স্টিলের গিয়ার চাকু, ১টি লোহার ডেগার ও ১টি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আটকরা এক্সপ্রেসওয়ের সহ ভাঙ্গা গোলচত্ত্বর এলাকায় বিভিন্ন সময় ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত করেছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। এছাড়াও এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৬ সদস্যদের বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে ।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ