ঢাকা, বুধবার, ১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩১, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ঈদ উপলক্ষ্যে ফুটপাতে বেড়েছে বেচাকেনা

প্রকাশনার সময়: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৪

মুসলিমদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এরই মধ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শপিংমলের পাশাপাশি ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাবেচা।

বুধবার (৩ এপ্রিল) কালিয়াকৈর পল্লীবিদ্যুৎ, সফিপুর ও চন্দ্রায় ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিক্রেতারা কেউ কাঠের চৌকি, কেউ কাঠের টেবিল বা ভ্যানের ওপর বসিয়ে, কেউ হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে, আবার কেউ চাদর বিছিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাকের সঙ্গে রেখেছেন প্রসাধনী সামগ্রীও। বিক্রেতাদের হাঁকডাক ও ক্রেতা-বিক্রেতার দরদামে পুরোদমে চলছে ঈদের কেনাকাটা। ফুটপাতের অধিকাংশ দোকানে বিভিন্ন বয়সের মানুষের পোশাকও পাওয়া যাচ্ছে। এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে প্যান্ট, শার্ট, টিশার্ট, পাঞ্জাবি, মেয়েদের পোশাকসহ শিশুদের জামা-কাপড়।

ভ্রাম্যমাণ এ দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে যে, এখানে একেকটি প্যান্ট বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাঞ্জাবি ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, শার্ট ২০০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের টিশার্ট ১৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আর শিশুদের পাঞ্জাবি থেকে শুরু করে শার্ট, টিশার্ট, জিন্স, প্যান্ট ও জুতা পাওয়া যাচ্ছে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকার মধ্যে।

সেলিম মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী জানান, কিছুদিন আগে বেচা-বিক্রি কম থাকলেও ঈদকে সামনে রেখে এখন বেচা-বিক্রি বেশ বেড়েছে। ঈদের জন্য অনেক কালেকশন বাড়িয়েছি আমরা।

কালিয়াকৈরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করেন আনসার আলী। এবারের ঈদে অফিস ছুটি দেবে কিনা এখনও নিশ্চিত নন। তবে তার ঈদ করতে বাড়িতে যাওয়া হোক বা না হোক, সন্তানদের জন্য নতুন জামা তো কিনতে হবে। তাই সফিপুর ফুটপাতের একটি দোকান থেকে ছেলের জন্য জামা দরদাম করছিলেন।

নয়াশতাব্দীকে তিনি বলেন, ছেলেটির জন্য নতুন জামা কিনতে এসেছি। কয়েকটা দোকানে ঘুরেছি, দাম বেশি চায়।

পল্লীবিদ্যুৎ ফুটপাতে বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করছিলেন মিরাজ। তিনি বলেন, গ্রামের বাড়িতে ঈদ করব। ভাগ্নে-ভাতিজাদের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে আসছি। আস্তে আস্তে কিনে রাখি। ভাগিনার জন্য জিন্স ও শার্ট নেওয়া হয়েছে। ফুটপাতে খুঁজে নিতে পারলে ভালো জিনিসও আছে। আবার কম দামেও পাওয়া যায়।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিম্নআয়ের মানুষের পাশাপাশি অনেক নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাও তাদের দোকানে কেনাকাটার জন্য আসেন। ঈদের কেনাকাটা শুরু হলেও সেই অর্থে ছুটির দিন ছাড়া বিক্রি কম। তবে সবার হাতে বেতন চলে আসলে বেচাবিক্রি জমে উঠবে বলে আশা তাদের।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ