চট্টগ্রাম মহানগরে ডাস্টবিন থেকে নুসরাত ওরফে সুখী (৭) নামে এক কন্যাশিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) নগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে। তবে এখনই তার পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার যুবক ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সিএমপি কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্রবর্তী জানান, শিশুটির মা পরিত্যক্ত বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করেন। বাসা বাকলিয়ার বৌবাজার এলাকায়। বোতল কুড়াতে বের হওয়ার সময় শিশুটিকে আন্দরকিল্লা এলাকায় ফুটপাতে পরিচিত লোকজনের নজরে রাখতেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, আমরা যুবক বয়সী একজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার (১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর কোতোয়ালী থানার স্টেশন রোডে ফলমন্ডির সামনে ডাস্টবিনে মরদেহটি পাওয়া যায়। পরে পুলিশ তার পরিচয় শনাক্ত করে। শিশুটির গোপনাঙ্গে এবং পায়ুপথে রক্তক্ষরণের আলামত পাওয়ায় তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ সন্দেহ করে। পরে ভোরে পুলিশ ওই যুবকে গ্রেপ্তার করে।
মায়ের ভাষ্য অনুযায়ী, রোববার (৩১ মার্চ) রাতে শিশুটি আন্দরকিল্লা থেকে নিখোঁজ হয়। মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে তিনি গিয়ে মেয়েকে শনাক্ত করেন। এর আগে রোববার রাতে নগরীর বিআরটিসি মোড়ের ফলমন্ডি ডাস্টবিন থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) অতনু চক্রবর্তী আরও জানান, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে শিশু নুসরাত ওরফে সুখীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শিশুটির পায়ু ও যোনিপথে রক্তক্ষরণের চিহ্ন আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সুখী তার মায়ের সঙ্গে বাকলিয়া বৌবাজার এলাকায় থাকত। তার মা রাস্তা, ডাস্টবিনে বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। এ কাজের সময় সুখীকে আন্দরকিল্লা এলাকায় পরিচিত ভ্রাম্যমাণ লোকজনের কাছে রেখে আসতেন মা।
তার মা জানিয়েছে, রোববার রাতে তিনি বোতল কুড়াতে আসার সময় মেয়েকে আন্দরকিল্লা রেখে এসেছিলেন। পরে গিয়ে মেয়ের খোঁজ করে কোথাও পাননি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা অতনু।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ