নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থরা পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিতে পারছে না। পবিত্র রমজানে সেহরি ও ইফতারের সময়েও হচ্ছে লোডশেডিং। গরমের অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছে চাটখিলবাসী। তবে, দেখার কেউ নেই!
প্রতিদিন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ১০ থেকে ১৫ বার লোডশেডিং হচ্ছে। চৈত্র মাসের শেষে প্রচন্ড গরমে চাটখিলের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। চাটখিল পৌরসভার প্রতিটি ইউনিয়ন ও প্রতিটি গ্রামে সমানতালে চলছে লোডশেডিং।
এর আগে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিপাতের কারণে তিন দিন বিদ্যুৎবিহীন ছিল কোন কোন এলাকা। চাটখিলের মত নোয়াখালীর আর কোথাও বিদ্যুতের এত সমস্যা হয় না।
চাটখিলে লোডশেডিংয়ের বিষয়ে জানতে নোয়াখালীর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহা-ব্যবস্থাপকের (জিএম) মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। চাটখিল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহা ব্যবস্থাপকের (ডিজিএম) মন্তব্য নিতে বারবার কল করে তাকেও পাওয়া যায়নি।
নোয়াখালীর অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র চাটখিল বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে জানিয়েছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তারা অনেক ঋণ করে দোকানে বিনিয়োগ করেছেন কিন্তু লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা ও প্রচন্ড গরমের কারণে ক্রেতা শূন্য প্রায়। তারা রীতিমত হতাশায় ভুগছেন।
একাধিক রোজাদার মুসল্লী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পবিত্র রমজানের মাসে মানুষ যখন একাগ্রচিত্তে এবাদত করবে এবং সেহরি ও ইফতার করবে তখন বিদ্যুৎ নিয়ে যায়। আমরা লোডশেডিংয়ের ভেল্কিবাজি থেকে বাঁচতে চাই, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাই।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ