নাটোরের সিংড়ায় এক নারীকে নকল স্বর্ণের বার দেখিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. রফিকুল ইসলাম (৫৭) বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের মো. ফরিদ জামানের ছেলে ও মো. সেরাজুল ইসলাম (৪০) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গরুহাটি এলাকার শামসুল হকের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার রামানন্দ খাজুরা গ্রামের দুজন নারী ঈদের কেনাকাটা করার জন্য বাড়ি হতে সিংড়া বাজারে আসার সময় জামতলী বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী বেশে থাকা ৩ জন প্রতারকের সাথে একই সিএনজিতে উঠেন। এসময় যাত্রীবেশে থাকা মো. রফিকুল ইসলাম তার হাতে থাকা লাল কাগজে মোড়ানো স্বর্ণের রং করা একটি লোহার পাত ভুক্তভোগী নারীকে দেখিয়ে বলেন, তার ছেলে বিদেশে থাকে, সে স্বর্ণের বারটি পাঠিয়েছে। এটি দিয়ে আপনার অনেকগুলো গহনা হবে। আপনার পুরাতন গহনাগুলো আমাকে দিয়ে দিন এবং স্বর্ণের বারটি নিয়ে নিন। তার কথায় বিশ্বাস করে ভুক্তভোগী নারী তার দুই কানে থাকা ৪ আনা ২ রতি ওজনের ত্রিশ হাজার টাকা মূল্যের দুটি গহনা প্রতারক রফিকুলকে দিয়ে দেন এবং তাদের সঙ্গে থাকা ৬শ টাকাও দেন। প্রতারকরা পথিমধ্যে চয়েনমোড়ে ভুক্তভোগী নারী ও তার সঙ্গীকে নামিয়ে দিয়ে দ্রুত সিএনজিযোগে পালিয়ে যেতে থাকে। তাদের সন্দেহ হলে আরেকটি সিএনজিযোগে তাদের ধাওয়া করা হয় এবং চিৎকার করতে থাকেন ওই নারী।
এসময় উপজেলার তাজপুর বাজারে টহলরত পুলিশ জনগণের সহায়তায় সিএনজির পথরোধ করে এবং প্রতারক রফিকুলকে আটক করেন। তার নিকট হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সিএনজি এবং লাল কাগজে মোড়ানো নকল স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আরেক প্রতারক সেরাজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নকল স্বর্ণের বার দিয়ে প্রতারণা করার সময় হাতেনাতে দুজনকে আটক করে মামলার মাধ্যমে সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ