ঢাকা, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১২ রজব ১৪৪৬

রায়পুরে প্রবাসীর পরিবারকে হত্যার হুমকি ইউপি সদস্যের

প্রকাশনার সময়: ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৪

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৩নং চর মোহনা ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুরাদ বাহাদুরের নেতৃত্বে সোহাগ কাজী নামে এক প্রবাসীর বসতঘরে হামলা চালিয়েছেন। সেই সঙ্গে পরিবারসহ প্রবাসীকে হত্যার (জবাই করার) হুমকি দিয়েছেন ইউপি সদস্য।

সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে রায়পুরে সৌদি আরব প্রবাসী সোহাগ সাংবাদিকদের এমন অভিযোগ করেন।

এর আগে, শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে ওই এমন ঘটনা ঘটে বলে হামলার শিকার প্রবাসী সোহাগের প্রতিবেশীরা জানায়, কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যকার চলা একটি দ্বন্দ্ব থামাতে গেলে, তার ওপর ক্ষিপ্ত হন স্থানীয় প্রভাবশালী সন্ত্রাসী নুর নবী বাহাদুর (৩৬)। পরে নুর নবীর ভাই লাতু বাহাদুর এতে যুক্ত হন। সন্ত্রাসী কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন ইউপি সদস্য মুরাদ। ঘটনার রাতে সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ভুক্তভোগী সোহাগ কাজীর বসতঘরে ৮০ থেকে ১শ জনের দলবল নিয়ে ভাঙচুর চালান অভিযুক্ত মুরাদ। হামলায় অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রবাসী সোহাগের বাবা হোসেন কাজী (৬৫), আকস্মিক ঘটনায় তিনি হার্ট অ্যাটাক করলে সন্ত্রাসীদের হামলার মুখেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

ওই হামলার পর প্রাণনাশের হুমকি ও প্রাণ ভয়ে বাড়ি ছাড়েন প্রবাসী সোহাগের পরিবার। রোববার (৩১ মার্চ) সৌদি আরব প্রবাসী সোহাগ বলেন, আমি কিশোর গ্যাংয়ের মারামারি থামাতে গেলে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালান নুর নবী বাহাদুর। তিনি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। পরে তার ভাই লাতু বাহাদুর ও তাদের ভাতিজা ইউপি সদস্য মুরাদ নিজেদের দলবল নিয়ে আমার বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর চালায়। আমাকে সপরিবারে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আমি ভয়ে আজ তিনদিন বাড়ি ছাড়া। তাদের ভয়ে মামলাও করতে পারছি না। তারা এলাকায় বলে বেড়াচ্ছে, রায়পুর থানার ওসিসহ সবাই তাদের দলে। তারা ওসি ও থানাকে জানিয়েই আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মুরাদ বাহাদুর বলেন, ‘আমরা হামলা চালিয়েছি। সেদিন সুযোগ পেলে সোহাগসহ তার পরিবারকে জবাই করে দিতাম। তার বাবার দোকানের তালা গতকাল (শনিবার) রাতে ভাঙতে পারিনি, নয়তো সব লুটে নিতাম। তাদের সবাইকে আমরা জবাই করবো। রায়পুর থানার ওসি জানে, পুলিশ জানে, পুলিশ প্রশাসন আমাদের পক্ষে।’

আরেক অভিযুক্ত নুর নবী বাহাদুর বলেন, ‘তাদের কোনো ছাড় নেই। আমরা সুযোগ পেলেই তাদের সবাইকে জবাই করবো।’

এ বিষয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, আমরা কোনো নির্দেশনা দেইনি। কোনো অভিযোগও পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ