‘আসো ভালোবাসি দেশকে, দেশের মানুষকে যাদের দুঃখের শেষ নেই’- সেবার ব্রত নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে গোয়ালন্দের রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। পৌর ১নং ওয়ার্ডের বৃদ্ধ রিকশা চালক জয়নাল প্রামানিক (৭০) এর পাশে সেবার ব্রত নিয়ে দাঁড়িয়েছেন মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক মো. সেলিম মুন্সী।
দীর্ঘ ৫৮ বছর ধরে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন জয়নাল প্রামানিক। পরিবারে রয়েছে স্ত্রী, কন্যা ও নাতনী। চারজনের সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম লোক তিনিই। এই বৃদ্ধ বয়সে রিকশা চালিয়ে সংসার চালান। তার একমাত্র আয়ের বাহন রিকশার করুন দশা দেখে এগিয়ে আসেন গোয়ালন্দ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রাতুল আহমেদ সজল। বৃদ্ধ জয়নালের ভাঙাচোরা রিকশার কথা গিয়ে জানান সেলিম মুন্সীর কাছে। তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন সেলিম মুন্সী। নতুন একটা ব্যাটারী চালিত রিক্সা কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বৃদ্ধ জয়নাল প্রামানিককে। কিন্তু সহজ-সরল অসহায় জয়নাল প্রামানিক তার দীর্ঘদিন চালিত রিকশা হাতছাড়া করতে রাজি নন। স্মৃতি হিসাবে তার পুরাতন রিকশা মেরামত করে দেওয়ার অনুরোধ জানান তাকে। তার কথামত রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বাস্তবায়নে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রাতুল আহমেদ সজলের উদ্যোগে মেরামত করা রিকশাটি হস্তান্তর করা হয় জয়নাল প্রামানিকের কাছে।
রিকশা হস্তান্তর কার্যক্রমে এসময় উপস্থিত ছিলেন- মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক মো. সেলিম মুন্সী, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম শেখ, সাবেক সভাপতি রাশেদুল হক রায়হান, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রাতুল আহমেদ সজল সহ ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতারা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক।
রিকশা পেয়ে জয়নাল প্রামানিক জানান, আমার রিকশাটি দীর্ঘদিন চালানোর কারণে ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভাঙা রিকশা চালানো খুবই কষ্ট হতো। সেলিম মুন্সী আমাকে নতুন রিকশা দিয়েছেন, এজন্য তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আল্লাহ্ তার ভালো করুক।
মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক মো. সেলিম মুন্সী বলেন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রাতুল আমাকে বৃদ্ধ জয়নাল চাচার কষ্টের কথা জানালে সাথে সাথে আমি তার রিকশা মেরামত করার সিদ্ধান্ত নেই। ইনশাআল্লাহ, এরকম আরও কোনো অসহায় মানুষ থাকলে চেষ্টা করবো তাদের পাশে দাঁড়ানোর।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ