ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মাথার ওপর ফুটওভার ব্রিজ, তবুও ঝুঁকি নিয়ে গ্রিলের ফাঁক দিয়ে পারাপার!

প্রকাশনার সময়: ২৯ মার্চ ২০২৪, ২০:১৩

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও আইল্যান্ডের (রোড ডিভাইডার) ওপরে থাকা গ্রিলের ফাঁক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ব্যস্ততম ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা গেছে এমনই চিত্র।

এ সময় দেখা যায়, এক পথচারী হঠাৎ মহাসড়ক পার হওয়ার জন্য দৌড় দিয়ে গিয়ে দাঁড়ালেন আইল্যান্ডের পাশে। এরপর গ্রিলের ফাঁকা অংশ দিয়ে ঢুকে সড়কের ওপাশে গেলেন। অথচ তার মাথার ঠিক ওপরেই অবস্থান করছে নিরাপদ যাতায়াতের ফুটওভার ব্রিজ।

এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম ওই পথচারী বলেন, ‘বাস দাঁড়িয়ে আছে। ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে আসলে দেরি হবে, বাস ছেড়ে যাবে, তাই গ্রিলের ফাঁক দিয়ে এসেছি।’

জীবনের চেয়ে কি সময়ের মূল্য বেশি? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘জীবনের মূল্যই বেশি। জেনে শুনেও এমনটি করেছি। আর করবো না।’

সাইফুল ইসলামের মতোই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে গ্রিলের ফাঁক দিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সড়ক পার হয়ে আসা ইব্রাহিম মিয়া নামের আরেক পথচারী জানান, ‘ফুটওভার ব্রিজ পার হতে কষ্ট হয়। তাছাড়া গ্রিল ফাঁকা থাকায় অনেককেই রাস্তার মাঝখান দিয়ে পারাপার হতে দেখা যাচ্ছে। সেজন্য আমিও আমার পরিবার নিয়ে আসলাম।’

ব্রিজ ব্যবহার না করে কেনো নিচ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উঁচা ব্রিজ দিয়া উঠতে মন চায় না। নিচ দিয়াই ভালো। এক মিনিটেই পার হওয়া যায়। দ্রুত নিচ দিয়ে যাতায়াত করা যায়। ব্রিজ দিয়ে যেতে সময় অনেক লাগবে, তাই নিচ দিয়ে পারাপার হচ্ছেন।’

এভাবে সাইফুল ও ইব্রাহিমের মতো ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শত শত পথচারী ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পার হচ্ছেন। মালামাল নিয়েও পার হচ্ছেন অনেকে।

জানা গেছে, এই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রয়েছে মোহাম্মদ আলী প্লাজা, বাউশিয়া সমিতি মার্কেট, মিয়াজী মার্কেট, ক্লিনিক, কাঁচা বাজারসহ ব্যাংক, বীমা কোম্পানির অফিস। বিভিন্ন প্রয়োজনে হাজারো মানুষ এ বাসস্ট্যান্ড দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন। অন্যদিকে মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে বিভিন্ন ধরনের ১৫-২০ হাজার যানবাহন।

পথচারীদের নিরাপদ সড়ক পারাপার ও যানজট নিরশনের লক্ষে গত ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করে দেয়।

এ বিষয়ে ভবেরচর হাইওয়ে থানার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, জনগণ যে পরিমাণ ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করার কথা, সে পরিমাণ ব্যবহার করছে না। ফুটওভার ব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে জোরপূর্বক যাত্রীদের ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে বাধ্য করা যেন প্রতিদিনের কাজ।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ