সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে আওয়ামী লীগ নেতাকে ৫০০ পিস ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন জিয়া চৌধুরী নামের এক যুবক।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে নড়াইলের লোহাগড়ার ইতনা ইউনিয়নের চরদৌলতপুর এলাকার ওই ঘটনায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী মো. আরজ আলী কাজী ওরফ লিচু কাজী ইতনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক।
সন্ধ্যায় থানা হেফাজত থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা লিচু কাজী জানান, চরদৌলতপুর বাজার থেকে পাংখারচর নিজ বাড়িতে ফেরার পথে দিনু মোল্যার দোকানের সামনে পৌঁছালে, অভিযুক্ত জিয়া তাকে ডেকে বসান। পাশে বসে কৌশলে পাঞ্জাবির পকেটে জিয়া একটি প্যাকেট ঢুকাতে গেলে তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এসময় নীল রংয়ের জিপার যুক্ত পাঁচটি পলিব্যাগ পকেটে ঢুকিয়ে জিয়া সটকে পড়েন। পরক্ষণেই পুলিশ আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। পরে সন্ধায় আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, সামাজিকভাবে হেয় করতেই সুপরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষরা জিয়ার মাধ্যমে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল। সত্য উদঘাটিত হওয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত জিয়াসহ অন্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতার ইয়াবার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিয়ে সন্দেহ হলে, সত্যতা জানতে মাঠে নামে লোহাগড়া থানা পুলিশের একটি টিম। পরে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূলপরিকল্পনাকারী অভিযুক্ত জিয়া নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে জিয়া চৌধুরী নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মাদক মামলা হয়েছে। পরে আসামিকে আদালতে তোলা হলে, আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায়।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ