মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে নিজের ৭ বছরের ভাতিজাকে হত্যা করল পাষণ্ড চাচা। নিখোঁজের চার দিন পর পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮) মার্চ বিকেল ৩টার দিকে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নের কলাবাগানের পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
শিশুটির নাম বাইজিদ মাহমুদ (৭)। সে ওই ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিল।
সহকারী পুলিশ সুপার (ত্রিশাল সার্কেল) অরিত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ মার্চ বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল বাইজিদ। পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীসহ নানা জায়গায় খোঁজ করা হয়। খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে আশেপাশের এলাকায় মাইকিং করা হয়। কিন্তু কোথাও বাইজিদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে তার পরিবার ত্রিশাল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে যান।
এরপর হঠাৎ করে বাইজিদের জন্য ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে তার পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে কল আসে। সেই কলের সূত্র ধরেই বাইজিদের পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বাইজিদের চাচা সোহাগকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ।
তার দেওয়া তথ্যমতে, নিখোঁজের চার দিন পর বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশু বাইজিদের মরদেহ পার্শ্ববর্তী কলাবাগানের একটি পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘গত ২৪ তারিখে হারিয়ে যাওয়া শিশুটির পরিবারের করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) প্রেক্ষিতে আমরা তদন্তে নামি। তদন্তের সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করলে, তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দেওয়া তথ্য মতে ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামি সম্পর্কে শিশু বাইজিদের চাচা। তার নাম সুহাগ বলেও জানান ওসি কামাল হোসেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (ত্রিশাল সার্কেল) অরিত সরকার বলেন, ‘বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। রমজানের এই রোজার মাঝে একটি অপহরণের মামলা হয়। তারই প্রেক্ষিতে আমরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জাহাঙ্গীরের ছেলে বাইজিদের মরদেহ পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে উদ্ধার করি।’
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ