চাকরি স্থায়ী হওয়ার ৯ মাসের মাথায় পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ১৯ জন শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তের আদেশে গত ৯ মাসের বেতন-ভাতাসহ রেলওয়ের কাছ থেকে পাওয়া আর্থিক সুবিধার অর্থও সরকারি কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
পাকশী বিভাগীয় পশ্চিম রেলওয়ে সূত্র জানায়, তিন বছর অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করার পর ওই শ্রমিকরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর রায় পান। রায়ের আদেশ অনুযায়ী গত বছর ২৮ ডিসেম্বর থেকে তাদের চাকরিতে রাজস্ব খাতে আত্তীকরণের মাধ্যমে স্থায়ী করে রেলওয়ের রাজশাহী (পশ্চিম) জিএম কার্যালয় কর্তৃপক্ষ। চাকরির ৯ মাস পর (১৯ সেপ্টেম্বর) রেলওয়ের রাজশাহীর সিনিয়র ওয়েলফেয়ার অফিসার (পশ্চিম) কার্যালয় থেকে এ শ্রমিকদের জানানো হয়, ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর হাইকোর্টের দেওয়া রায় ও আদেশটি সঠিক ছিল না। এ কারণে ১৯ জন পিটিশনকারীর আত্তীকরণ সংক্রান্ত জিএম (পশ্চিম) রাজশাহীর আদেশ বাতিল করা হলো।
বরখাস্তের আদেশ পাওয়া শ্রমিকরা জানান, তারা প্রায় তিন বছর অস্থায়ীভাবে পোর্টার পদে শ্রমিক হিসেবে কাজ করার পর হাইকোর্টে রিট পিটিশন করে রায় পেয়ে স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে চাকরি করছিলেন। হাইকোর্টের সেই আদেশ যাচাই-বাছাই করেই তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আদেশ যদি মিথ্যা হয়, তাহলে এতদিন পর কেন বরখাস্ত করা হলো?
রিট পিটিশন দায়েরকারী শ্রমিক মিলন বিশ্বাস বলেন, আমরা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাব। আশা করি, উচ্চ আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেবেন।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন বলেন, চিফ পার্সোনেল অফিসার রাজশাহী (পশ্চিম) কার্যালয়ের চিঠি রোববার বিকেলে আমরা পেয়েছি। ১৯ শ্রমিককে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সিনিয়র ওয়েলফেয়ার অফিসার রাজশাহী (পশ্চিম) এস.এম আকতার হোসেন বলেন, ১৯ রিট পিটিশনকারীর আত্তীকরণ সংক্রান্ত জিএম (পশ্চিম) রাজশাহীর আদেশটি বাতিল ঘোষণা করে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ