লালমনিরহাটের আদিতমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক মো. লিটন মিয়ার (১৯) মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার হাতীবান্ধার জাওরানি সীমান্ত দিয়ে তার লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
এর আগে সোমবার (২৫ মার্চ) মধ্যরাতে আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী পশ্চিম বর্ডার এলাকায় ৯২৩নং পিলারে ভারতের অভ্যন্তরে তাকে গুলি করা হয়। মৃত যুবক লিটন পারভেজ ওই এলাকার দীঘলটারী সাংকাচওড়া গ্রামের মোকছেদুল হকের ছেলে।
সীমান্তবাসীরা জানান, সোমবার রাতে ভারতীয় গরু পাচারের সময় দীঘলটারী পশ্চিম বর্ডার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে একদল রাখাল। গরু নিয়ে ফেরার পথে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কোচবিহার জেলার দিনহাটা কৈমারী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে ঘিরে ফেলে।
এ সময় গরু পাচারকারীরা এলাকায় ফোন করলে লিটন মিয়াসহ ২০/২৫ জন বাংলাদেশি তাদেরকে উদ্ধার করতে ভারতে প্রবেশ করে। লিটন পারভেজ লাঠি নিয়ে একজন বিএসএফ সদস্যকে ধাওয়া করলে আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ গুলি ছোড়ে। বাকিরা পালিয়ে ফিরলেও সেই গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে পড়েছিলেন লিটন। পরে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। ভারতের এমজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে মারা যান যুবক লিটন।
উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠকের পর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। একই বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বুধবার দিনগত মধ্যরাতে জাওরানী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও ভারতীয় পুলিশ লিটনের কফিনে মোড়ানো মরদেহ বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের কাছে ফেরত দেন। এ সময় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ভারতীয় পুলিশের কাছ থেকে বুঝে নিয়ে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন বলেন, বাংলাদেশি যুবক লিটনের মৃত্যুর ঘটনায় বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটনোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ভারতীয় পুলিশ মরদেহ আমাদের পুলিশের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ