যৌতুকের দাবিকৃত মোটরসাইকেল দিতে না পারায় অকালে প্রাণ দিতে হলো সাদিয়া খাতুন পাখি (২৮) নামের এক গৃহবধূকে। বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের মাঝদক্ষিণা গ্রামে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের মালশিন গ্রামের রইছ উদ্দিনের মেয়ে সাদিয়া খাতুন পাখির সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় দেশীগ্রাম ইউনিয়নের মাঝদক্ষিণা গ্রামের আরশাফ আলীর ছেলে হোসাইনের। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। এর জেরে বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার টার দিকে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। স্বামী হোসাইন তারাবি পড়তে গেলে অভিমানে সাদিয়া খাতুন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
তবে সাদিয়ার বাবা রইছ উদ্দিনের দাবি, তার মেয়েকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকলোভী হোসাইন মাঝে মধ্যেই আমার মেয়েকে যৌতুকের কারণে নির্যাতন করতো। তার দাবি ছিল মোটরসাইকেল, কিন্তু আমি গরীব মানুষ হওয়ায় এ দাবি পূরণ করতে পারি নাই। তাই আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে গৃহবধূর স্বামী হোসাইনের সঙ্গে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ওপর মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, মরদেহ গতরাতেই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে জানা যাবে এটি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা!
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ