রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নারী ও শিশুদের যৌনপেশায় যুক্ত হওয়ার পেছনে দরিদ্রতাকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

যৌনপল্লীর নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতির (এমএমএস) সহযোগিতায় ‘তেরে দেস হোমস’ (টিডিএইচ) নামক সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক সংগঠন এ গবেষণা প্রস্তুত ও ফলাফল প্রকাশ করে।

বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা ১২টায় মুক্তি মহিলা সমিতির কনফারেন্স রুমে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।

গবেষণার বিষয়ে ধারণা দেন টিডিএইচ-এর বাংলাদেশ কো-অর্ডিনেটর জিনিয়া আফরোজ। গবেষণা উপস্থাপন করেন টিডিএইচ-এর গবেষক সুরজিত কুন্ডু।

মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগমের সভাপতিত্বে ও সমিতির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর আতাউর রহমান মঞ্জুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারসিম তারান্নুম হক, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার রুহুল আমিন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেওয়ান তোফায়েল হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা বেগম, উপজেলা মহিলা ও শিশু পাচার প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্টা নির্মল কুমার চক্রবর্তী, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল, দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ সহিদুল ইসলাম, আক্কাস আলী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মাদ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শামীম শেখ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাশেদুল হক রায়হান, সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, চিকিৎসক, এনজিও কর্মী, নারী কর্মীসহ আরও অনেকে।

গবেষণা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের নভেম্বরে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক সংস্থা তেরে দেস হোমস (টিডিএইচ) দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর ভেতরে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ১২-১৮ বছর বয়সী ৫০ জন নারীর ওপর একটি গবেষণামূলক জরিপ চালায়।

গবেষণায় অংশগ্রহনকারীরা কিভাবে যৌনপল্লীতে আসলেন সেই বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এতে দরিদ্রতাকে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে পাচার, প্রতারণা, শোষন ও নির্যাতন, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ, পরিবারের সদস্যদের চাপসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।

পাশাপাশি এ থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পদক্ষেপ নেওয়াসহ সাতটি পরামর্শ তুলে ধরা হয়।

নয়াশতাব্দী/এনএস