ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ, স্বস্তিতে কিশোরগঞ্জের কৃষকরা

প্রকাশনার সময়: ২৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩১
ছবি- নয়া শতাব্দী

কিশোরগঞ্জের হাওরে আগাম বন্যার পানি থেকে বোরো ধান রক্ষায় ১৪১ কি.মি. ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। জেলার ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামসহ ৯ টি উপজেলায় এসব বাঁধ নির্মাণ হয়। আগের বাঁধগুলো সংস্কারের পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে নতুন বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে হাওরের কৃষক পরিবারগুলো।

জানা গেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক হাওর অঞ্চলের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ /মেরামত কাজ বাস্তবায়নের জন্য চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে কাবিটা নীতিমালা -২০২৩ মোতাবেক বাঁধ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। জেলার ৯ টি উপজেলায় ১২৪ টি পিআইসির মাধ্যমে ১৯ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৪১ কি.মি. বাঁধ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এরমধ্যে কাজের অগ্রগতি ও মান পরিদর্শনের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সরেজমিনে পিআইসি সমূহের কাজ পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান হাওরে বাঁধ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনকালে কাজের অগ্রগতি ও সার্বিক বিষয় নিয়ে এলাকার সুবিধাভোগী কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। এ সময় এলাকার লোকজন বাঁধ নির্মাণ কাজের মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং চলতি বছরের আগাম বন্যার হাত থেকে ফসল রক্ষায় পিআইসি কর্তৃক নির্মিত বাঁধসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত বাঁধের কারণে তাদের চলতি বছরের বোরো ফসল নির্বিঘেœ ঘরে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন হাওরের কৃষকেরা।

কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানান, জেলার ৯ টি উপজেলায় ১২৪ টি পিআইসি

কমিটির মাধ্যমে বাঁধ নির্মিত হয়েছে। আশা করি এবারো কৃষকেরা নির্বঘ্নে তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারবে। কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বাঁধ নির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করেছেন, এমনকি বাধঁগুলো নির্মাণে তদারকিসহ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন।

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জানান, আগাম বন্যা থেকে ফসল রক্ষায় আগের বাঁধগুলো মেরামতের পাশাপাশি নতুন বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ফসল রক্ষায় হাওরের চারপাশে বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। তাই আশা করছি, আগাম বন্যা হলেও জমিতে পানি ওঠার আগেই কৃষক তার উৎপাদিত ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ