নাটোরের গুরুদাসপুরে জমি-জমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলার শিকার হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা ঘরে বসবাস করছেন স্বামী-স্ত্রী।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে চাপিলা ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সালামের বাড়িতে দেখা যায় এ চিত্র।
কৃষক আব্দুস সালাম জানান, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে প্রতিবেশি রিয়াজ মন্ডলের ছেলে খলিল মন্ডল ও আব্দুল মজিদ মন্ডলসহ তাদের অনুসারীদের সাথে। পূর্ব শত্রুতার জেরে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গত শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে প্রায় ৮-১০ জন বাড়ির মধ্যে এসে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তিনি ও তার স্ত্রী আছমা বেগম এবং ছেলে আজাদুল প্রাং আহত হন। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে শশুড় বাড়ির লোকজন আসে তাদের দেখতে। তাদেরকেও মারধর করে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। হামলার শিকারের পর তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে বাড়িতে রয়েছেন। আব্দুস সালামের মাথায় ১২টি ও স্ত্রী আছমা বেগমের মাথায় ৮টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। ছেলে আজাদুল প্রতিপক্ষের ভয়ে পালিয়ে রয়েছেন। যে ঘরে বসবাস করতেন সেই ঘরটিও ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভাঙচুর করেছে প্রতিপক্ষরা। অসুস্থ্য শরীর নিয়ে ওই ভাঙা ঘরেই বসবাস করছেন তিনি। কারণ পুনরায় হামলা করতে পারে।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে গুরুদাসপুর থানায় ৮ জনের নামে অভিযোগ দিয়েছেন কৃষক আব্দুস সালাম।
এদিকে প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী আব্দুল মজিদ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এক শতক জায়গা নিয়ে দ্বন্দ। শুক্রবার পরিবারসহ তারা ইফতার করছিলেন। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আব্দুস সালাম ও তার ছেলে আজাদুল পার্শ্ববর্তী রাজ্জাক মোড় এলাকা থেকে ১৫-২০ জন লোক ভাড়া করে নিয়ে এসে তাদের ওপর ইফতার শেষ না হতেই লোহার হাতুড়ি ও ধারালো হাসুয়া দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় নারী-বৃদ্ধসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন জানান, তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ