শতভাগ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশের চাকরি পেলেন ২৮ তরুণ-তরুণী। প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণার পর তাদেরকে পুলিশ সদস্য হিসেবে বরণ করে নিয়েছে জেলা পুলিশের সদস্যরা।
শনিবার (২৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান (পিপিএম-সেবা)।
সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ২৪ পুরুষ ও ৪ নারী প্রার্থী নিয়োগ বোর্ড কর্তৃক চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়।
নিজ যোগ্যতায় চাকরি পেলেন যারা- সাধারণ কোটায় (মেধাতালিকায় পর্যায়ক্রমে) আহসান হাবিব জিসান, ইমরান হোসাইন, রুবায়েত হোসাইন, আসিফ ইকবাল, রাকিবুল ইসলাম, সজিব, রিফাত আলী, আতিক হাসান, আকরাম হোসাইন, জাহিদুল ইসলাম, আরাফাত হোসাইন, মাহাবুদুর রহমান, মেজবাউর রহমান, আশিক আলি, জিহাদ, পারভেজ হোসাইন হিরো।
এছাড়া অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছেন- লিমন আলি, ভূপেন শিল, তাওফিক উমর, আকাশ হোসাইন, সাদ্দাম হোসাইন।
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় (পুরুষ) চাকরি পেলেন- আব্দুল হামিম, আশরাফ আলি থানাবি, রাকিব হোসাইন, শাকিল আলি ও গোলাম সাকলাইন সৌরভ।
পুলিশ পোষ্য কোটায় (পুরুষ) যারা চাকরি পেলেন- মোস্তাফিজুর রহমান শাকিব ও সোহানুর রহমান।
আনসার ও ভিডিপি কোটায় (পুরুষ) পেয়েছেন- নাজিমুস সাকিব।
নারী সাধারণ কোটায় চাকরি পেলেন- খালেদা আক্তার হাসি, সুরাইয়া আক্তার তিশা, কনিকা খাতুন ও জান্নাতুল মিম। এছাড়া অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছেন, সুরাইয়া আক্তার ও ইতি খাতুন।
পুলিশ সুপার আরএরম ফয়জুর রহমান বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া যখন শুরু করেছিলাম, তখনি বলেছিলাম চুয়াডাঙ্গার সবাই যেন নিরপেক্ষভাবে এতে অংশ নিতে পারে। মেধাভিত্তিক, যোগ্য প্রার্থীরা যেন একদম বিনা পয়সায় চাকরি পায়, সে চেষ্টা আমরা করেছি। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত সকলের একমাত্র পূর্বশর্ত ছিল মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে। তাদের অন্য কোনো পরিচয়, সামাজিক বা অর্থনৈতিক অবস্থান ভূমিকা পালন করেনি।
সরকার কতৃর্ক নির্ধরিত ১২০ টাকা তাদের সরকারি খরচ ছিল। জেলা পুলিশ সকল বিষয়ে খুবই তৎপর ছিল।
ফলাফল ঘোষণা করার সময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, নিয়োগ বোর্ডের সদস্য মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কামরুল আহসান, মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের ডিআইও-১ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ