ভোলায় মেধা ও যোগ্যার ভিত্তিতে ১৬৫ টাকা খরচ করে পুলিশে চাকরি পেলেন ৪৫ জন তরুণ-তরুণী। ট্রেইনি রিক্রুট পুলিশ কনস্টেবল (টিআরসি) পদে কোনো ঘুষ, সুপারিশ ও হয়রানি ছাড়াই চাকরি পেয়েছেন তারা।
পাঁচ ধাপে যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা শেষে শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে ভোলা জেলা পুলিশ লাইন্সে এ পদে নিয়োগ প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহিদুজ্জামান বিপিএম।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে কনস্টেবল নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই পদের জন্য মোট ২ হাজার ২৫ জন আবেদন করেন। শারীরিক পরীক্ষা শেষে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ৪৮৩ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১০১ জন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪৫ জন চাকরি পান। পাঁচজনকে অপেক্ষমান রাখা হয়েছে। ফল ঘোষণার পর নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারকে ফুল দিয়ে বরণ করেন পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান, বিপিএ।
এসময় অভিভাবকরা আবেগপ্রবণ হয়ে তাৎক্ষণিক অনুভূতি ব্যক্ত করেন কৃষক, দিনমজুর, অটোচালক বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িতরা। যদি বাংলাদেশ পুলিশ স্বচ্ছতা, যোগ্যতা এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ না দিতো তাহলে আজ তাদের সন্তানরা বাংলাদেশ পুলিশের মতো গর্বিত বাহিনীতে চাকরি করার সুযোগ পেত না ।এ সময় তারা মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে তাদের সন্তানদের বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ দেওয়ায় বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানিত আইজিপি মহোদয় এবং জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়কে ধন্যবাদ জানান।
মাত্র ১৬৫ টাকা আবেদন ফি দিয়ে পুলিশে চাকরি পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উত্তীর্ণ তরুণ-তরুণীরাও। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে দেশের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তারা।
জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান বিপিএম তার বক্তব্যে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়ে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দেশসেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার আহ্বান জানান। প্রশিক্ষণকালীন বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ভোলাবাসীকে আশ্বস্ত করেছিলাম একটি স্বচ্ছ নিয়োগ উপহার দেব। আমরা আমাদের কথা রেখেছি। শতভাগ স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রক্রিয়ায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে।’
এ সময় নিয়োগ বোর্ডের সদস্যসহ ভোলা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ