ঢাকা, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার মানহানির অভিযোগ সাদের

প্রকাশনার সময়: ২৪ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৭

জাতীয় পার্টি (কাদের) থেকে এরশাদপুত্র রাহগীর আল মাহিকে (সাদ এরশাদ) অব্যাহতি দেওয়া জিএম কাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দল থেকে অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে শতকোটি টাকার মানহানির অভিযোগ এনে ভাতিজা তার চাচাকে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন।

শনিবার (২৩ মার্চ) পাঠানো লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, সাদ এরশাদ ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির জাতীয় কাউন্সিলে কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেখানে আপনি রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদকে কথিত অব্যাহতি নাটকপত্র সাজিয়ে মাহমুদ আলমকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার প্রকাশনা করে জনসম্মুখে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন।

যার ধারাবাহিকতা অদ্যবধি পর্যন্ত বিদ্যমান রেখেছেন সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে। ওই কর্মকাণ্ড করে আপনি এরশাদ পুত্র সাদ এরশাদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তি সম্মান নষ্ট করে চলেছেন। এই রকম মানহানিকর সংবাদ প্রচার করে আপনি ১০০ কোটি টাকার মান সম্মানের ক্ষতি সাধন করেছেন। সাথে সাথে পেনাল কোড এর ৪৯৯ ধারা ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার এর জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে-২০১৮ এর ২৯ (১) (২) ধারার অপরাধ করেছেন। তাই সাদ এরশাদের আদর্শের প্রতি আদর্শিত হয়ে আপনাকে স্ব-উদ্যোগে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করলাম।

কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে জানাবেন। আরও জানাবেন আপনি কিভাবে জনবন্ধু হলেন। অন্যথায় যথা আদালতে আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ২১ মার্চ সাদ এরশাদসহ ১০ সিনিয়র নেতাকে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি দেন জিএম কাদের। এই অব্যাহতিপত্র অবৈধ আখ্যা দিয়ে জিএম কাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান জাতীয় পার্টি (রওশন) কো-চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান টেপা।

এদিকে জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ অংশের একাধিক নেতা জানান, জিএম কাদের যাদেরকে অব্যাহতি দিয়েছেন এবং দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সমাঝোতার আসন দেওয়ার কথা বলে আর্থিক লেনদেন করেছেন তাদের সিংহভাগই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯০ সাল স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর এরশাদের অনুজ জিএম কাদের রাজনীতিতে আবির্ভাব ঘটে মৌসুমি পাখির মতো। লালমনিরহাট সদর আসনে হামার ছাওয়া এরশাদ এই প্রীতিতে ৯০ এর পর টানা এমপি নির্বাচিত হয়ে আসছেন জিএম কাদের। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী ক্ষমতায় এলে মন্ত্রী হন জিএম কাদের। মাঝখানে ২০১৪ সালে জাপা সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এরপর হতে জাপার রাজনীতিতে রংপুর অঞ্চলে ভাটারটান শুরু হয়ে যায়। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে জিএম কাদের লালমনিরহাটের মানুষের উপর ভরসা রাখতে পারেননি। তিনি লালমনিরহাট সদর আসনে প্রার্থী হননি। জাতীয় পার্টির প্রার্থী নৌকার প্রার্থীর কাছে জামানত হারায়। এভাবে লালমনিরহাট হতে জাপার ও জিএম কাদের এমপির রাজনীতির দেউলিয়াপনার সৃষ্টি হয়ে যায়। জনগণ হতে বিতাড়িত প্রায়। লালমনিরহাটে জাপার রাজনীতি এখন মাঠ পর্যায়ে তৃতীয় ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। রওশন ধারা, জিএম কাদের ধারা ও বিদিশা ধারা।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ