ভোলার তজুমদ্দিনে গোয়ালঘরে পানি দেওয়ার অপরাধে আব্দুল হামিদ নামে পাঁচ বছরের এক প্রতিবন্ধী শিশুকে প্রথমে বাথরুমে, পরে শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী শিশুর মা সাজেদা বিবি (৪৫) বাদী হয়ে দুজনকে অভিযুক্ত করে তজুমদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাদলীপুর গ্রামের ভূলু মোল্লার প্রতিবন্ধী শিশু আব্দুল হামিদ (৫) বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে শিবপুর ১নং ওয়ার্ডে মঞ্জুর বাড়িতে গিয়ে তার গোয়াল ঘরে পানি ঢেলে দেয়। এ ঘটনায় মঞ্জু ও তার স্ত্রী আছমা বেগম মিলে প্রতিবন্ধী শিশুটিকে মারধর করে তাদের বাথরুমে আটকে রাখেন।
শিশুটির মা সাজেদা বিবি বলেন, পরে ছেলেকে দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করি। তারপরেও না পেয়ে ডাকচিৎকার দিলে আমাদের শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলে হামিদ তাদের বাথরুমের ভেতর থেকে চিৎকার দিয়ে উঠলে, আমি তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যাই। এসময় অভিযুক্তরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
পরে অভিযুক্ত দম্পতি প্রতিবন্ধী শিশুটিকে বাথরুম থেকে বের করে পায়ে শিকল লাগিয়ে বাগানে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রতিবন্ধী শিশুটির বড় ভাই আবু রায়হান তার শিশু ভাইকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, শিকল দিয়ে বেঁধে এলোপাতাড়ি মারধর করায় প্রতিবন্ধী শিশু হামিদ মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়ে।
এঘটনায় নির্যাতনের শিকার প্রতিবন্ধী শিশু আব্দুল হামিদের মা সাজেদা বিবি বাদী হয়ে মো. মঞ্জু (৪০) ও তার স্ত্রী আছমা বেগমকে (৩৫) অভিযুক্ত করে তজুমদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ারুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ