ঢাকা, রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১১ রজব ১৪৪৬

মরিচা পড়া লোহাতে রং লাগিয়ে ব্রিজ নির্মাণ

প্রকাশনার সময়: ২৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৩

পটুয়াখালীর বাউফলে একটি আয়রন ব্রিজের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে পুরাতন ও মরিচা পড়া মালামাল দিয়ে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় ৬২ লাখ ৩৭ হাজার ৯শ’৫০ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ব্রিজটি। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সুলতানাবাদ- চন্দ্রপাড়া সড়কে চন্দ্রপাড়া খালের উপর এ আয়রন ব্রিজ নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।

নতুন মালামাল দিয়ে ওই ব্রিজের নির্মাণ করার কথা থাকলেও পুরাতন জং ধরা লোহার পিলার ও ভীমে রং দিয়ে করা হচ্ছে। এর ফলে ব্রিজের স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলে আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ প্রকল্পের আওতায় চন্দ্রপাড়া খালের উপর ২৭মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩.৭ মিটার প্রস্থের একটি ব্রিজের নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হয় ৬২ লাখ ৩৭হাজার ৯শ’৫০ টাকা। পটুয়াখালীর মের্সাস রোজা অ্যান্ড সাওম এন্টারপ্রাইজ এ নির্মাণ কাজ করছেন। ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হলে কাজ শুরু হয়েছে ৪-৫ দিন আগে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৬-৭জন শ্রমিক ব্রিজের কাজ করছেন। তারা পুরানো মরিচা পড়া লোহার পিলার কোনো ধরণের যন্ত্রপাতির সাহায্য ছাড়াই নৌকার উপর ভড় করে কাদা-মাটিতে পুতছেন। শিডিউল অনুযায়ী কাজ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ রয়েছে, এ ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয়দের যাতায়াতের জন্য বিকল্প একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করতে ৪৩ হাজার ৮শ ১৩ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও দায়সাড়া ভাবে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। তাও আবার নড়েবড়ে। যা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা।

সুলতানাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রিজ নির্মাণের নামে সরকারি বরাদ্দ লুটপাট চলছে। বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করতে পুরাতন মরিচা পড়া লোহার পিলার, ভীম ও এঙ্গেল ব্যবহার করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোজা অ্যান্ড সাওম এন্টারপ্রাইজের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সাব-ঠিকাদার অরবিন্দু দাস বলেন, ‘কাজ ঠিক মত হচ্ছে। কোনো অনিয়ম হচ্ছেনা।’

নির্মাণ কাজের তদারকি কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবিএম হুমায়ন কবির বলেন, ‘নতুন পোস্ট পাওয়া যায় না বিধায় পুরাতন পোস্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে বাকি সব নতুন। ভীমসহ অন্য অন্য মালামালও পুরাতন ও রং করা। এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।’

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ