পটুয়াখালীর দশমিনায় পারিবারিক কলহের জেরে সোহেল খাঁন ওয়াহেদ আলী (৩৫) নামে এক যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে তার স্ত্রী। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত সাবিনা ইয়াসমিনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ মার্চ) মধ্য রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূজাখলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সোহেল খাঁন ওয়াহেদ আলী উপজেলার সদর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের পূজাখলা এলাকার বেল্লাল খাঁনের ছেলে ও অভিযুক্ত সাবিনা ইয়াসমিন ২নং ওয়ার্ডের ছত্তার কাজীর মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত দেড়টার দিকে পূজাখলার একটি বাসা ভাড়ায় পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ, বাম পাশের রান ও ডান হাতের আঙ্গুল কেটে দেন।
এ সময় স্বামী সোহেলের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে, সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিঠুন চন্দ্র উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
সেখানে রোগীর অবস্থার আরো অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল পাঠান, সেখানে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে তাৎক্ষণিক কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠিয়ে দেন।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারে যে, অভিযুক্ত সাবিনা ইয়াসমিন পালিয়েছে। পালিয়ে যাবার সময় ওই গৃহবধূকে আটক ও ঘটনার সময় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও অন্যান্য আলামত উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরুল ইসলাম মজুমদার জানান, এ ঘটনার পর আলামতসহ অভিযুক্ত গৃহবধূকে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ