ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

টেকনাফে ফের ৫ কৃষক অপহৃত, ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

প্রকাশনার সময়: ২১ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৫

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে এবার ‘মুক্তিপণের দাবিতে’ অপহরণ করা হয়েছে পাঁচ কৃষককে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ভোরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী পাহাড়ী এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অপহৃতরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী এলাকার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে মো. জিহান (১৩), একই এলাকার ফকির আহম্মদের ছেলে মো. রফিক (২২), আব্দুর রকিমের ছেলে মোহাম্মদ নুর, মৃত মো. ছৈয়দুল্লাহর ছেলে মো. শামীম ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুর রহমান।

অপহৃতদের স্বজনদের বরাতে রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ‘বুধবার রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী পাহাড়ী এলাকা সংলগ্ন ফসলি খেত পাহারা দিচ্ছিল কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ভোররাতের দিকে গহীন পাহাড়ের দিক মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে ৫ জনকে তুলে নিয়ে যায়। পরে স্বজনরা বিষয়টি অন্যদের জানান।’

অপহৃত জিহানের মা ফাতেমা বেগম জানান, সকালে তার ছেলেসহ ৫ কৃষককে অপহরণের ঘটনা জানতে পারেন। পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। দুপুরের দিকে অজ্ঞাতনামা পরিচয়ে এক ব্যক্তি মোবাইলে কল দিয়ে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে মোহাম্মদ নুরের স্বজনদের কাছে ১৫ লাখ টাকা এবং অন্য চারজনের স্বজনদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ওই দুর্বৃত্ত।’

তবে এই অপহরণের বিষয়ে ‘পুলিশ অবহিত নয়’ বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।’

তিনি বলেন, ‘স্থানীয় কয়েক গণমাধ্যম কর্মীর কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেছি। এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশের কাছে লিখিত বা মৌখিক কোনো ধরনের অভিযোগ আসেনি।’ তারপরও ঘটনাটি শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে গত ৯ মার্চ টেকনাফ উপজেলার হ্নীলায় অপহৃত মাদরাসাশিক্ষার্থী ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ (৬) ১২ দিনেও উদ্ধার হয়নি। যদিও পুলিশ এই অপহরণে ব্যবহৃত অটোরিকশার চালক ও সংঘবদ্ধ চক্রের নারী সদস্যসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি ওসমান গনি।

টেকনাফে এতো অপহরণের নেপথ্যে কী তারও আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সদর থেকে অপহৃত আরেক মাদরাসা শিক্ষার্থী রাশিকুল ইসলামকেও (১৫) উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মিয়ানমার সীমান্তের টেকনাফে গত এক বছরে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ১০১টি। তাদের মধ্যে ৪৬ জনকে ছাড়িয়ে আনতে হয়েছে মুক্তিপণ দিয়ে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ এর মার্চ নাগাদ টেকনাফে পাহাড়কেন্দ্রিক যে ১০১টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ৫১ জন স্থানীয় এবং ৫০ জন রোহিঙ্গা।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ