বাংলাদেশে প্রায় ২ মাস কারাভোগ শেষে নিজ দেশ ভারতে ফিরলেন মা ও ছেলে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার জয়নগর সীমান্তের শূন্য রেখায় উভয় দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর উপস্থিতিতে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
কারাভোগ শেষে দেশে ফেরা ভারতীয় নাগরিকরা হলেন- ভারতের চব্বিশপরগনা জেলার কুলতলি থানার মথুরা নগরউত্তর কলোনি গ্রামের পরান দাসের স্ত্রী কাজলী দাস ও তার ছেলে প্রাণ কৃষ্ণ দাস।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ছেলেকে বিয়ে দিতে অবৈধভাবে ভারত থেকে যশোর বেনাপোল সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। ওই দিনই চট্রগ্রামের সন্দীপ এলাকায় যান। সেখানে বিয়ে শেষে ১৫ দিন পর আবার ভারতে ফেরার জন্য একই সালের ১ নভেম্বর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর মাটিলা সীমান্ত এলাকায় যাওয়ার সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে আটক করে।
চুয়াডাঙ্গা দর্শনা জয়নগর ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিকুর রহমান বলেন, চট্রাগ্রাম সন্দীপ এলাকার এক যুবতীর সাথে ভারতীয় নাগরিক প্রাণ কৃঞ্চ দাসের সাথে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। এরপর উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রাণ কৃষ্ণ বাংলাদেশি ওই যুবতীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মোতাবেক মাকে সাথে নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে অবৈধভাবে ভারত থেকে যশোর বেনাপোল সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের প্রবেশ করেন। পরে দেশে ফেরার সময় ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর মাটিলা সীমান্তে বিজিবি তাদেরকে আটক করে।
অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে একই দিন মহেশপুর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ মহেশপুর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিয়াদ হাসান ভারতীয় নাগরিক
মা ও ছেলেকে ১ মাস ২০ দিনের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সেইসাথে ৫০০ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ২ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।কারাভোগ শেষে আইনি প্রক্রিয়ায় মা ও ছেলেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এ সময় কাজলী দাসের ছোট ভাই সুমন দাস তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ভারতীয় পুলিশের সাথে আসেন।
ভারতীয় নাগরিক হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশে পক্ষে দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিকুর রহমান, জয়নগর বিজিবি আইসিপির সুবেদার মন মোহন, কাস্টমসের সিপাহি সুমন মুন্সি, ভারতের পক্ষে গেদে ইমিগ্রেশন পুলিশের ইন্সপেক্টর এস কে বোস, গেদে কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট সুব্রত মন্ডল, বিএসএফের গেদে ক্যাম্প কমান্ডার এসি ভিতাসি এইচসহ উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ