টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনীর এক সদ্যসের বিরুদ্ধে স্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলন করেন রিনা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে রিনা আক্তার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে সেনা সদস্য শাওনের সাথে সর্ম্পক হয়। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ৭ জানুয়ারি পারিবারিকভাবে রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর উপজেলার বর্ধনপুর গ্রামের আফছার আলীর ছেলে শাহিন আলম শাওনের ছেলের সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিন মাস ভালোভাবে সংসার চলছিল। ৩ মাস পর শাওন তার কর্মক্ষেত্র চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি সেনানিবাসে চলে যায়। এরপর আমার সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেয় শাওন। বার বার যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করে জানতে পারি শাওন পরকিয়ায় লিপ্ত হয়েছে। আমার ওপর দিন দিন অত্যাচার শুরু করে শাওন। ডিভোর্স দেওয়ার জন্য আমাকে তার পরিবারের লোকজন দিয়ে বার বার হুমকি দেওয়ায়। এরপর আমি বাধ্য হয়ে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় টাঙ্গাইল আদালতে মামলা দায়ের করি।
তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে শাওন মির্জাপুর থানার পুলিশ সদস্যদেরকে ম্যানেজ করে আমাকে নানাভাবে মিমাংসা ও মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে আমি চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি সেনানিবাসে গেলে সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন- আপনারা স্বামী-স্ত্রী মিমাংসা হয়ে আসেন, না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিস্তু এখনো নেওয়া হয়নি। আমি আমার স্বামীর অত্যাচার সহ্য না করে ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ বিষ পান করে হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। এরপরও শাওন আমার কোনো খোঁজ-খবর নেয়নি। এখন আমার স্বামী যদি আমাকে না মেনে নেয়, তাহলে আমার মৃত্যু ছাড়া কোনো উপায় নেই।
মামলায় বিচারক তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে। তাও মির্জাপুর থানার পুলিশ শাওনের পক্ষ নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করছে না। এই মামলার জন্য মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন আমাকে মুঠোফোনে কল করে নানাভাবে হুমকি দিয়েছে। যাতে করে আমি মামলা তুলে নিয়ে ডিভোর্স দেই। আমি এই লোকদের বিচার চাই। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হয়েও সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে এখনো বহাল এই শাওন।
রিনার বাবা জহির উদ্দিন বলেন, আমার মেয়েটার জীবন শেষ হয়ে গেছে। রিনা বার বার আত্মহত্যার জন্য চেষ্ঠা করেছে। কয়েক দফায় তাকে ঘরের ফ্যানে উড়না পেচাতে দেখেছি।
টাঙ্গাইল মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা। যদি এসআই আনোয়ার হোসেন এই কাজ করে থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত সেনা সদস্য শাহিন আলম শাওন বলেন, আমার বিরুদ্ধে সকল প্রকার অভিযোগ মিথ্যা। আমি কোনো নির্যাতন করিনি।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ