চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের রহনপুর আল মদিনা ক্লিনিকে সিজারিয়ান রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে।
জানা গেছে, উপজেলার বাংগাবাড়ি ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামের রোমানের স্ত্রী পরি (১৮) প্রসাব বেদনা নিয়ে রহনপুর আল মদিনা ক্লিনিকে রোববার (১৭ মার্চ) সকালে ভর্তি হয়ে দুপুরে তার সিজারের মাধ্যমে একটি ছেলে বাচ্চা হয়। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ওইদিন সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
পরির স্বামী জানান, মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার পর আমাদের সাত ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে, রক্ত পেতে আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। রাত ১০টায় রাজশাহী মেডিকেলের আবাসিক চিকিৎসক বলেন, ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসা হয়েছে, তাই রোগীর অবস্থা খুব খারাপ এবং পরের দিন সকাল ১০টায় রোগীকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এর এক ঘণ্টা পর তিনি মারা যান।
পরির মামা ভোলাহাট উপজেলার বজরাটেক গ্রামের অহিদুল সোমবার বেলা ৩.৩০ মিনিটে প্রতিবেদককে মোবাইলে প্রথমে অভিযোগ করেন এবং গণমাধ্যমের বিষয়টি তুলে ধারণা আহ্বান জানান।
এবিষয়ে বাংগাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য মেয়েটি মারা গেছে, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি কি করা যায় দেখবো।
আল মদিনা ক্লিনিকের ম্যানেজার শাহিন মঙ্গলবার রাত ৮টা ২৫ মিনিটে ০১৭১১ ১০০০৫৫ এই নম্বর থেকে প্রতিবেদককে ফোন দিয়ে বলেন, আপনি বিভিন্ন জায়গায় ফোন দিচ্ছেন তিলকে তাল করছেন কেন। রোগী মারা যেতে পারে এটা স্বাভাবিক বিষয়। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় কোন ডাক্তার অপারেশন করেছে এবং কি কারণে রোগীর মৃত্যু হল তা বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
দেশে খাতনা করতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যু তখন প্রশাসন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নড়ে চড়ে বসে। সেই সময়ে ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হলেও দুঃখের বিষয় গোমস্তাপুর উপজেলার (রহনপুরে) এ পর্যন্ত কোনো ক্লিনিক এ অভিযান হয়নি।
এবিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আব্দুল হামিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রোগীর মৃত্যুর বিষয়টা আমার জানা নেই, তবে কেউ অভিযোগ দিলে বিষয়টি দেখবো।
উল্লেখ্য, এর আগে আল মদিনা ক্লিনিকের একজন শেয়ারদার এর অসামাজিক ভিডিও ভাইরাল হয়, বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ