দিনাজপুর সদর উপজেলার ৩ নম্বর ফাজিলপুর ইউনিয়নের রানীগঞ্জ হাট এলাকায় পোশাক প্রেমী মানুষেরা দিনাজপুর পৌর শহর থেকেও ছুটে যাচ্ছেন হাটের দক্ষিণে রুপম মার্কেটের নীচ তলায় শাহিন টেইলার্স অ্যান্ড বস্ত্রালয় দর্জির দোকানে। দিনাজপুর পৌর শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে গোপালগঞ্জ হয়ে চাঁদগঞ্জ দিয়ে যেতে হয় ৩ নম্বর ফাজিলপুর ইউনিয়নের রানীগঞ্জ হাটে। হাটের দক্ষিণে রয়েছে সুসজ্জিত দৃষ্টিনন্দন রূপম মার্কেট। মার্কেটের নীচ তলায় অবস্থিত শাহিন টেইলার্স অ্যান্ড বস্ত্রালয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই দর্জির দোকানে ইলেক্ট্রিক দ্বারা পরিচালিত অত্যাধুনিক সেলাই মেশিন, এই সেলাই মেশিনগুলো গার্মেন্টস এ ব্যবহার করা হয়। অল্প সময়ের ভিতরেই গ্রাহকরা আধুনিক ও টেকসই মানের কাপড় বানিয়ে নিচ্ছেন এই দর্জির দোকান থেকেই। বর্তমানে গ্রাম ছাড়িয়েও শহরের পোশাকপ্রেমী মানুষদের এই দর্জির দোকানটির সুনাম এখন মুখে মুখে।
এই প্রতিষ্ঠানে পাঞ্জাবি, জোব্বা, বোরখা, থ্রি-পিছ, কাবলি সেট, প্যান্ট, শার্ট, কল্লিদার পাঞ্জাবি, এরাবিয়ান জুব্বাসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় এই দর্জির দোকানে উন্নত মেশিন দিয়ে সেলাই করে প্রস্তুত করা হয়। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই গ্রাহকদের মাঝে কাপড় সেলাই করে দেন দর্জির কারিগররা। এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন ৫ জন দক্ষ দর্জি কারিগর। শুধু তাই নয়, এই দোকানে রয়েছে দেশি এবং বিদেশি থান কাপড়ের সমাহার। ফলে দিনাজপুর পৌর শহরের মার্কেটগুলো থেকে পোশাকপ্রেমীদের কাপড় কিনতে হয় না। কারণ শহরের চেয়ে কম দামে এই দর্জির দোকান থেকেই দেশি বিদেশি কাপড় গ্রাহকরা কিনেন এবং এখানেই সেলাই করে নেন।
গ্রাহক আব্দুস সালাম জানান, তার বাড়ি দিনাজপুর পৌরসভাধীন ১১ নম্বর ওয়ার্ড মিশন রোড এলাকায়। তিনি এক যুগের অধিক সপরিবারের কাপড় এই দর্জির দোকান থেকে কিনেন এবং এখানেই সেলাই করে নেন। কারণ দিনাজপুর শহরে মালদহপট্টি, চুড়িপট্টি, গুলশান মার্কেট, এন এ মার্কেট, আব্দুর রহিম সুপার মার্কেট থেকে পূর্বে কাপড় কিনতেন এরপর বিভিন্ন নামীয় শহরের দর্জির দোকানে সেলাই করে নিতেন, পরবর্তীতে লোকমুখে জানতে পারেন রানিগঞ্জ হাট এলাকার দক্ষিণে রূপম মার্কেট নীচ তলায় অবস্থিত শাহিন টেইলার্স অ্যান্ড বস্ত্রালয়, এখানে দেশি ও বিদেশি কাপড় পাওয়া যায় এবং এখানে উন্নত মানের মেশিন দ্বারা সেলাই করা হয়। সত্যই তাই অন্যান্য মার্কেটের চেয়ে সুলভ মূল্যে এখানে দেশি বিদেশি কাপড় পাওয়া যায়, সেলাইও করা হয় নিখুঁত ও টেকসই। শুধু আমি নই, দিনাজপুর শহরের মানুষেরাও এই প্রতিষ্ঠান থেকে কাপড় কিনে এবং সেলাই করে নিয়ে যায়।
দর্জি দোকান মালিক মো. শাহিন আলম বলেন, মানুষের সেবাই আমাদের লক্ষ্য, গ্রাহকরা যেন না ঠকে। দেশি বিদেশি কাপড় আমরাই এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিক্রয় করে থাকি। গ্রাহকরা যদি মনে করে, এই প্রতিষ্ঠান থেকে পছন্দমতো কাপড় সেলাই করে নেবে, তখন আমরা তাদের কেনা কাপড় উন্নত মানের সেলাই মেশিন দ্বারা পোশাক তৈরি করে দেই। কাপড় পরিধান করে গ্রাহকের হাসি মুখ দেখলেই আমরা আনন্দিত। গ্রাহক সেবাই আমাদের কর্ম।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ