ঢাকা, রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১১ রজব ১৪৪৬

সূর্যমুখী হলুদ ফুলের হাসিতে মুগ্ধ প্রকৃতিপ্রেমীরা

প্রকাশনার সময়: ১৯ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৪

সবুজ পাতার ভেতর থেকে মাথা উঁচু করে প্রকৃতিতে নিজের সৌন্দর্য জানান দিচ্ছে সূর্যমুখী ফুল। সামান্য বাতাসেই দুল খাচ্ছে ফুলগুলো। সূর্যের সাথে যেন মিতালি হয়েছে ফুলের। অপরূপ দৃশ্য দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। সূর্যমুখী ফুল দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সী সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ বাগানে ভিড় করছেন।

ময়মনসিংহের নান্দাইলে কানারামপুর-ত্রিশাল সড়কের নাউরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঠিক পিছনে ৫০ শতক জায়গায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে রীতিমতো বাজিমাত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নাউরি গ্রামের সৌখিন কৃষক নুরুল ইসলাম ও হোসেন আলী শিকদার। উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে তারা সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেন। সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে কৃষি অফিসসহ সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তারা।

সরেজমিন দেখা গেছে, প্রকৃতির মাঝে নিজের সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিচ্ছে সূর্যমুখী ফুলগুলো। সবুজ গাছে ফুটে আছে শত শত সূর্যমুখী ফুল। স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে সূর্যমুখী ফুলের বাগানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন বয়সীয় মানুষ মিষ্টি হলুদ রঙের সূর্যমুখী দেখতে ভিড় করছেন। তবে এজন্য ফুলপ্রেমী দর্শনার্থীদের গুণতে হয় মাথাপিছু ২০ টাকা। সূর্যমুখী ফুলকে পাশে নিয়ে বিভিন্ন পজিশনে ছবি তুলছেন অনেকেই। কেউ সেলফি তুলতে ব্যস্ত, কেউ ব্যস্ত ফেসবুক আইডিতে ছবি পোস্ট করতে।

সূর্যমুখী বাগানের মালিক নুরুল ইসলাম ও হোসেন আলী শিকদার বলেন, চলতি মৌসুমে কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে ৫০’শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী চাষ করেছি। ফলনও হয়েছে ভালো। প্রতিটি গাছে ফুল এসেছে। একদিকে যেমন ফুলের সৌন্দর্য মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, অপরদিকে এ ফুলের বীজ বেঁচেও লাভবান হওয়া যায়। সে চিন্তা মাথায় রেখে তারা এ বাগান করেছেন। তাদের এই সফলতা দেখে গ্রামের অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করছেন সূর্যমুখী চাষ করার।

মধুপুর থেকে এসেছেন সিমান্তী ও তার বান্ধবী রিংকি। তারা বলেন, খবর পেয়ে সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে এসেছি। ফুলের সৌন্দর্য দেখে আমরা সত্যিই মুগ্ধ। খুব ভালো লেগেছে।

পরিবারের সাথে বাগানে বেড়াতে এসেছে স্কুল পড়ুয়া নাদিম, অনিক ও রাখি। তারা জানায়, এতো সুন্দর দৃশ্য দেখে আমি অভিভূত। খুবই চমৎকার একটি দৃশ্য। আমরা অনেক আনন্দ পেয়েছি।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নুসরাত জামান বলেন ,বিশ্বে সূর্যমুখী তেলের ৫৮ শতাংশ উৎপাদিত হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়ে তেলের বাজারে। বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়া যে সূর্যমুখী চাষের উপযোগী নাওরি গ্রামের দুই কৃষক তা করে দেখিয়েছেন। তবে সূর্যমুখী বীজ থেকে তেল বের করার মেশিন সহজলভ্য করলে বা সরকারি প্রনোদনা কর্মসূচির মাধ্যমে ভর্তুকী মূল্যে যন্ত্রপাতি দিতে পারলে কৃষকরা আগামীতে এই দামি ও পরিবেশের জন্য উপকারী ফসল চাষে আগ্রহী হবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ