চট্টগ্রামে উদ্ধারের মামলায় এক মাইক্রোবাস চালককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।এছাড়া তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা এ রায় দিয়েছেন বলে বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান বাপ্পি (৪০) কুমিল্লার কোতোয়ালী থানার কাটাবিল গ্রামের শফিকুর রহমান মাস্টারের ছেলে। তিনি পেশায় মাইক্রোবাস চালক।
বাপ্পি ভারত সীমান্ত দিয়ে আসা নিষিদ্ধ ফেনসিডিল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম শহরে এনে বিক্রি করতেন বলে মামলার নথিতে উল্লেখ রয়েছে।
বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, মামলা তদন্ত শেষে নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইলিয়াস খাঁন ২০১২ সালের ৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে শুধুমাত্র বাপ্পিকে আসামি করা হয়। ২০১৩ সালের ২২ মে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আদালত আসামির বিচার শুরুর আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর আদালত আসাদুজ্জামান বাপ্পিকে এ সাজা দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসাদুজ্জামান বাপ্পি পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়ে পালিয়ে যান। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
মামলার নথি পর্যালোচনায় জানা গেছে, ২০১২ সালের ৪ জুলাই রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানার পুরাতন স্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ের গুদামের সামনে রাস্তায় ফেনসিডিল বোঝাই মাইক্রোবাস নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন আসাদুজ্জামান বাপ্পি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর একটি টিম সেখানে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে একটি মাইক্রোবাস থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর সময় চালক আসাদুজ্জামান বাপ্পিকে আটক করা হয়। মাইক্রোবাসে তল্লাশি করে তিনটি চটের বস্তা থেকে মোট ৫৪০ বোতল আমদানি নিষিদ্ধ ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) কাজী মিজানুর রহমান বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। বিদেশি বন্দুক, দুটি দেশীয় এলজি, ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ