নেত্রকোণার পূর্বধলায় চাঞ্চল্যকর সোনিয়া আক্তার ওরফে সুইটি (২০) হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মূল আসামি মো. এনামুল হককে (২২) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) পূর্বধলা থানা পুলিশের একটি চৌকস টিমের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে খলিশাপুর এলাকায় বোনের বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামি এনামুল হক উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের খলিশাপুর (বনপাড়া মালবাড়ি) গ্রামের মৃত মঞ্জুল হকের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার ঢেউয়াখোলা ইউপির চর শ্রীরামপুর গ্রামের মো. সুবহানের মেয়ে সোনিয়া আক্তার ওরফে সুইটি খলিশাউড় ইউপির রাজিবপুর গ্রামে তার বৃদ্ধ নানা-নানীর সেবা-যত্ন করার জন্য এক বছর যাবৎ তার নানার বাড়িতে থাকতেন।
সেখানে খলিশাপুর (বনপাড়া মালবাড়ি) গ্রামের মো. এনামুল হকের সঙ্গে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ অবস্থায় ভিকটিম ইরাক প্রবাসী জনৈক শরিফুলের সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেন এবং পারিবারিকভাবে ভিকটিমের বিয়ের কথাবার্তাও চূড়ান্ত হয়। কিন্তু আসামি এনামুল হক বিয়ের সংবাদ মেনে নিতে পারেনি এবং সুইটিকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকেন।
গত ১০ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার পর আসামি ভিকটিমকে বাড়ি থেকে মোবাইলে কল দিয়ে স্থানীয় রাজিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের দক্ষিণ পূর্ব কোণায় ডেকে নিয়ে কথা বলেন।
এক পর্যায়ে আসামি এনামুল হক ভিকটিমের গায়ে থাকা ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং মরদেহ নিয়ে ভিকটিমের নানা মো. আবুল কাশেমের টিনের বসতঘরের সামনের খোলা বারান্দার বাঁশে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের পর ভিকটিমের বাবা অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ৩০২/৩৪ ধারায় পেনাল কোড রুজু করে।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চাঞ্চল্যকর সোনিয়া আক্তার ওরফে সুইটি হত্যার মূল আসামি মো. এনামুল হককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ