পবিত্র মাহে রমজানে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয় খিরা ও লেবু। এ বছর রোজা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই বেড়েছে এই লেবু ও খিরার দাম।
তিনদিনের ব্যবধানে আকারভেদে প্রতি কেজি খিরা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে, প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা হালি। যা এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা হালিতে।
সরজমিনে দেখা গেছে, রমজানের প্রথম দিন থেকেই প্রতি কেজি খিরার দাম বেড়ে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া খিরা প্রথম রমজানেই বিক্রি হয় ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। মাঝারি মানের খিরা গত সপ্তাহে ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও, এখন সেটিও দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।
খিরা বিক্রেতা শ্যামল চন্দ্র বলেন, কাঁচা বাজারের অবস্থা প্রতিদিনই বদলায়। রমজানের শুরুতেই বেগুনের দাম অনেক বেড়েছে। আমাদেরও কিছু করার নেই। সব তো আড়ৎদারদের হাতে। তারা বেশি দামে বিক্রি করে বলেই আমরা বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করি।
এদিকে, লেবুর দোকান ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। দুদিন আগে ১০ থেকে ১২ টাকা হালিতে বিক্রি হওয়া লেবু শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।
জানতে চাইলে আড়ৎদার আবেদ আলী ও সাগর হোসেন বলেন, রমজানে চাহিদা অনুযায়ী খিরা ও লেবুর আমদানি কম হয়েছে। তাই দাম বেড়েছে। তবে সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম কমে আসবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, রমজান শুরুর আগে থেকেই উপজেলা প্রশাসনের তদারকি দল মাঠে কাজ করছে। কেউ যদি ইচ্ছা করে কোনো নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়, আর সেটা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অসাধু ব্যবসায়ীদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ