ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাঁচ সাংবাদিককে জেলে পাঠানোর চেষ্টা, সেই এসিল্যান্ড প্রত্যাহার

প্রকাশনার সময়: ১৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৮
সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) আব্দুল্লাহ আল নোমান সরকার।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার আলোচিত সেই এসিল্যান্ড আব্দুল্লাহ আল নোমান সরকারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাংবাদিকদের তালাবদ্ধ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা চেষ্টার অভিযোগ ওঠার দিনগত রাতেই তাকে প্রত্যাহারের আদেশ এলো।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমানের দেওয়া আদেশে তাকে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় এসিল্যান্ড হিসেবে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ উল্ল্যাহ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ডিসি মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান সরকারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে অনুমতি পাওয়া গেলে দ্রুত বিভাগীয় তদন্তকাজ শুরু করা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১টায় শহরের টিএনটি রোডে সদর উপজেলা এসিল্যান্ড অফিস প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের আটকে রাখেন এসিল্যান্ড আব্দুল্লাহ আল নোমান সরকার। প্রতিবাদে ঢাকা-বুড়িমারী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিচার দাবি করেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।

জানা যায়, ওই অফিসে আবেদনকৃত জমির খারিজের শুনানি উপজেলা এসিল্যান্ডের অনুপস্থিতিতে করা হচ্ছে- এমন সংবাদ পেয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে যান মাইটিভির লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি মাহফুজ সাজু। এ সময় ভুক্তভোগী এক ব্যক্তির ভিডিও সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় এসিল্যান্ডের নির্দেশে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে অফিসের কর্মচারীরা। খবর পেয়ে আরও চার সাংবাদিক ঘটনাস্থলে এলে তাদের অফিসে আটকে রেখে অফিস গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।

এ সময় এসিল্যান্ড অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তিনি পুলিশ ডেকে এনে সাংবাদিকদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে দেওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টিএমএ মমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অফিস গেটের তালা খুলে সাংবাদিকদের মুক্ত করেন।

পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতেই ওই সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) সাংবাদিকদের ‘দালাল’ বলে অপমান করতে থাকেন। এ সময় সাংবাদিকরা অফিসের সামনে অবস্থান নিলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। পরে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এ সময় পেছনে থাকা চ্যানেল আই-এর ক্যামেরা পারসনের মোটরসাইকেল আটকে দিয়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) আব্দুল্লাহ আল নোমান সরকার।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ