ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

টাঙ্গাইলে ৭ মাসে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু

প্রকাশনার সময়: ১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৯

টাঙ্গাইলে গত ৭ মাসে ট্রেন দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সচেতনতার অভাবে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

অপরদিকে নিয়মিত জনসচেতনতার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে বলেই জানিয়েছে রেলস্টেশন পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের আগস্ট মাসে ৪ জন, সেপ্টম্বরে ২ জন, অক্টোবরে ৪ জন, নভেম্বরে একজন এবং ডিসেম্বরে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৬ জন ও ফেব্রুয়ারি মাসে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ওই এলাকার শফিকুল রবিন ও পলাশ বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে রিন্দার মাঝখানে বেশিরভাগ পথচারীরা দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। পথচারী ছাড়াও যানবাহনের চালকসহ যাত্রীরাও দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে। অসাবধাণতার কারণেই ট্রেনে কাটা পড়ার ঘটনা ঘটছে।

পথচারীদের সচেতন করতে রেলওয়ে পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের তেমন কোনো কর্মকাণ্ড চোখে পড়ে না দাবি করে তারা বলেন, মূলত সচেতনতার অভাবে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।

কালিহাতী উপজেলার স্থানীয় কয়েকজন বলেন, রেলস্টেশন গেটে লোকজন ইয়ারফোন লাগিয়ে হাঁটাহাঁটি করে। ফলে তাদের অনেকেই ট্রেন দুঘর্টনার শিকার হন। এ বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রতি মাসেই ২-৩টি সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা উচিৎ। এছাড়াও রেলস্টেশন, রেলগেট সংলগ্ন ও বিভিন্ন বাজার, মসজিদ, স্কুলে সচেতনামূলক কার্যক্রম চালানো দরকার বলে মনে করেন তারা।

এ বিষয়ে ঘারিন্দা রেলস্টেশন পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) আলী আকবর বলেন, জনগণকে সচেতন করার জন্য প্রতি মাসেই কর্মসূচি পালন করা হয়। সেতুর কাছে কিছু জায়গা আছে সেখানে ভোরে কিছু লোক অসাবধান হয়ে হাঁটাহাঁটি করেন। ট্রেন আসলে সিগনাল শুনতে না পেয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন।

মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় ও বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় থেকে গোপালপুর উপজেলার হেমনগর পর্যন্ত এলাকায় গত ৭ মাসে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে রেলওয়ে পুলিশের জনসচেতনতার কাজ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওসি আলী আকবর।

জয়দেবপুর স্টেশনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ সাদ ইসলাম বলেন, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পুর্বপাড় এবং বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় থেকে গোপালপুরের হেমনগর পর্যন্ত প্রায় ২০ জন গেটম্যান রয়েছে। গেট ছাড়াও রয়েছে প্রায় ৩০ জন।

এ ব্যাপারে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক নুর মোহাম্মদ বলেন, মৃত্যুর কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। লেবেল ক্রসিং, মোবাইলের হেডফোনসহ অসাবধনতার কারণে মৃত্যু হওয়ার সংখ্যা বেশি।

জনসচেতনতার কাজে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসা উচিৎ বলেও মনে করেন তিনি।

নয়াশতব্দী/এনএইচ/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ