লালমনিরহাটে রমজানের শুরুতে হঠাৎ বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। সবজিভেদে পাঁচ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বাড়তি দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। পাইকারি বাজারে সবজি পর্যাপ্ত না থাকায় ক্রেতারা বলছেন, রমজান এলেই মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন।
বৃহস্পতিবার (১৪মার্চ ) লালমনিহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার শিয়ালখোয়া ও চাপারহাট কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে। এসব বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে ১০০ টাকা কেজি দরে। অথচ দুইদিন আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কাঁচা পেঁপে, টমেটো ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। এসব সবজি এক সপ্তাহ আগে ৩০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে পাওয়া গেছে। কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে পটল, ধুন্দুল, বরবটি, করলা, উস্তা, কচুর লতি, বেগুন, গাজর, ঢেঁড়শ, চিচিঙা।
প্রতি কেজি পটল বিক্রি করতে দেখা গেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৭০, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, উস্তা ১০০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ও চিচিংগা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। এছাড়া বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে লাউ ও জালি কুমড়া। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়, জালি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
বেড়েছে সব ধরনের শাকের দাম। প্রতি আঁটি লাল শাক, সাদা শাক ১৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। লাউ শাক প্রতি আঁটি ৪০ টাকা, কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা, পাট শাক ১৫ টাকা, কচু শাক ১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
দাম বাড়া পণ্যের তালিকায় রয়েছে- পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আলু। সপ্তাহ ব্যবধানে পণ্যগুলোর দাম পাঁচ থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ-আলুতে পাঁচ টাকা, আদা-রসুনে ১৫ টাকা দাম বেড়েছে।
বাশার নামে এক ক্রেতা জানান, রজমান মাস আসা মাত্রেই মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। বাজারে সব ধরনের সবজি পর্যাপ্ত থাকলেও তারা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
তবে এ ক্রেতার সঙ্গে একমত নন শিয়ালখোওয়া বাজারের সবজি বিক্রেতা নুর আলম। তার মতে, পাইকারি বাজারে সবজি কম থাকায় সব ধরনের সবজিতে বাড়তি দাম রয়েছে। সবজির সরবরাহ বেশি হলে দাম কমে যাবে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মাংস, চাল, ডাল, ডিম, লবণসহ বেশির ভাগ মুদি পণ্যের দাম।
ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে, লাল লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, পাকিস্তানি কক প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ