ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা যাওয়ার রাস্তা এটি। প্রকৃতি যে অভূতপূর্ব সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিতে পারে তার প্রকৃত উদাহরণ ঝিনাইদহের এ প্যারিস রোড। নজরকাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এ গ্রামীণ সড়ক। দেখলে বিশ্বাস হবে না যে, কোনো গ্রামীণ মেঠো পথের রাস্তা।
দুপাশে অবধারিত ধানখেত। তার মাঝ দিয়ে চলমান রাস্তাটি পুরোপুরি ছবির মতো। মনে হবে, কোনো শিল্পির হাতে আঁকা জলন্ত ছবি। গোছানো, পরিপাটি, বাস্তবিক এমন অভাবনীয় সৌন্দর্যে ভরা রাস্তাটি ঝিনাইদহ জেলায় অবস্থিত। যা দেখতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লেগেই থাকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত।
দুপাশে যতদূর চোখ যায় শুধুই ধানখেত। মাঝদিয়ে বয়ে চলা রাস্তাটির দুপাশে শত নারিকেল গাছ। এক ধাক্কায় যে কারোর চোখ আটকে যাবে। শহুরের যান্ত্রিকতা থেকে মুক্তি পেতে হাজারো দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় এ জায়গায়। কেউ আবার ভিন্ন জেলা থেকে আসছে রাস্তাটি শুধুমাত্র একনজর দেখার জন্য। ছবির ফ্রেমে নিজেদের সাক্ষী করে রাখছেন কেউ কেউ । শিল্পীর নিপুন হাতের ছোঁয়ায় ছবির মতো এমন বাস্তবিক নজরকাড়া সৌন্দর্য ভ্রমণ পিপাসুদের একটু হলেও দিচ্ছে অনাবিল আনন্দ। বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছে দর্শনার্থীরা।
এলাকাবাসী রহমত আলী জানান, ২ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝিনাইদহ প্যারিস রোড কোলাহলমুক্ত এক ট্যুরিস্ট স্পট হয়ে উঠছে দিনের পর দিন ।
যশোর থেকে আগত পারভেজ ও তার পরিবার জানান, শুনেছিলাম জায়গাটি মুগ্ধকর এক পরিবেশ। তাই দেখতে আসলাম। সত্যিই, মুগ্ধকর এক জায়গা। প্রাণ জুড়িয়ে গেল।
সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল মতিন জানান- যেহেতু আমার ওয়ার্ডে এ রাস্তাটি, তাই এর দেখভালের দায়িত্বও ইউনিয়ন পরিষদকে দেওয়া হয়েছে। এই রাস্তটিতে আরও নারকেল গাছ ও তালবীজ রোপন করা হয়েছে। যা খুব শিঘ্রই দৃশ্যমান হবে। সৌন্দর্য আরও বাড়বে বলেও তিনি দাবি করেন।
তিনি আরো জানান, তৎকালীন নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যন মো. আলাউদ্দীন ১৯৯৩ সালে নলডাঙ্গা সড়কে ২৫০০ নারিকেল গাছ রোপন করেন।পরিচর্যা ও যত্নের পর মাত্র ৭০০ নারিকেলগাছ বেঁচে আছে ।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ