রাজশাহীর বাঘায় ইয়াসমিন ইরা (২২) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি এক সেনা সদস্যের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
সোমবার (১১ মার্চ) রাতে উপজেলার দীঘা গ্রামে নিজ স্বয়ন কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মৃতের বাবা ইয়াসিন আলী বাদি হয়ে তার মেয়েজামাই পাভেল আহাম্মেদের (৩৭) নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) পুলিশ মরদেহটি রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় একধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দীঘা নওদাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সেনা সদস্য পাভেল আহাম্মেদের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর মেয়ে রোকাইয়া ইয়াসমিন ইরার। তাদের ঘরে বর্তমানে ৭ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। বর্তমানে ইরা চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
স্থানীয়রা আরো জানান, বিয়ের পর তাদের দুজনার দাম্পত্য জীবন সুখের হলেও, বর্তমানে নানা কারণে তাদের মধ্যে কলহ বিরাজ করছিল। সর্বশেষ সোমবার রাত ৯টার দিকে পাভেল বাড়িতে থাকা অবস্থায় তার নিজ ঘর থেকে স্ত্রীর গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ নিয়ে স্থানীয় লোকজন ভিন্ন-ভিন্ন মত প্রকাশ করছেন। অনেকের মতে, এই মুত্যুর পেছনে রহস্য লুকিয়ে আছে। তবে পুলিশ মৃত ইরার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পায়নি বলে এ প্রতিবেদককে জানান।
এ ঘটনায় মৃতে বাবা বাঘা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেই অভিযোগে ইরার মৃত্যুকে তিনি আত্যাহত্যার প্ররোচনা উল্লেখ করে মেয়েজামাই সেনা সদস্য পাভেল আহাম্মেদের নামে অভিযোগ করেছেন।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমরা রাতে লাশ উদ্ধার করে মঙ্গলবার রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় নিহতের বাবা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে সবকিছু নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ