গাজীপুরে আসামি ধরতে পুলিশকে সহযোগিতা করায় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে এক যুবকের মাথার ডান পাশ, দুই পা এবং বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে। পরে সেই কব্জি একটি বাঁশে সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখে তারা। এ ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি দা-সহ ৪ জনকে রংপুর ও গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমানের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রংপুরের পীরগঞ্জ থানার বড় রসুল এলাকার আ. মান্নানের ছেলে সুমন মিয়া (২৪), একই থানার মাহামুদপুর এলাকার সোহরাব হোসেনের ছেলে সোহেল রানা (২৫), মাদারীপুরের গোপালপুর এলাকার হাসমত বেপারীর ছেলে আসাদ বেপারী ওরফে আসলাম (৩৪) এবং গাজীপুরের বাসন থানার চান্দপাড়া হকমার্কেট এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে মো. ফজলু ওরফে তোতলা ফজলু (৩২)। তারা সবাই গাজীপুরের বাসন এলাকায় বসবাস করতো।
উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, সম্প্রতি বাসন থানা পুলিশ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মূলে সুমন মিয়া ও আসলামকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় পুলিশকে সহায়তা করায় ভিকটিম মো. মাসুদ রানার (৩৫) সঙ্গে তাদের শত্রুতা সৃষ্টি হয়। এর জেরে গত ৯ মার্চ ভোরে মাসুদ রানাকে বাসন থানাধীন ভোগড়া পেয়ারাবাগান এলাকার ভিএন্ডআর গার্মেন্টসের গলিতে মনিরের টিনশেড বাড়ির পেছনে ডেকে নিয়ে যায় কয়েক যুবক। সেখানে তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাসুদের মাথার বাম পাশ, দুই পা এবং বাম হাতের কজি বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পরে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হাতের কব্জি বাঁশের একটি লাঠির সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় তারা। বাসন থানা পুলিশ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে গুরুতর আহত মাসুদ রানাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় আহত মাসুদ রানার ভাই মো. রাজিব মিয়া বাদি হয়ে বাসন থানায় মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ রংপুর ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে ঘটনাস্থলের একটি ড্রেন থেকে ঘটনার সময় ব্যবহৃত ২টি ধারালো দা উদ্ধার করা হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ