শাবালক মেয়েকে নাবালক দেখিয়ে অপহরণ মামলা করে শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ও গৃহবধূ সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর সদর উপজেলা নিমনগর বালুবাড়ী এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা শাহিনুর ইসলামের মেয়ে শামিরা ইয়াসমিন তমা'র সাথে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার উত্তর বগুলাগাড়ী (চৌধুরীপাড়া) এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াস হোসেনের ছেলে আল মাহাফুজ মিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সেই প্রেমের সম্পর্কের কথা মেয়ের বাবা শাহিনুর ইসলাম জানতে পারে। ফলে তাদের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি হয়। শাহিনুর মোবাইল ফোনে মাহাফুজকে হুমকি ধামকি দেয়। এরই ফলশ্রুতিতে ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি তারিখে সবার অজান্তে শামিরা ইয়াসমিন তমা' প্রেমিক আল মাহাফুজের সাথে যোগাযোগ করে অনত্র গিয়ে এফিডেভিটসহ কাবিননামা মূলে বিয়ে করে সংসার বাঁধেন।
এদিকে শামিরা ইয়াসমিন তমা'র বাবা শাহিনুর ইসলাম তার শাবালিকা মেয়েকে নাবালক দেখিয়ে দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় মাহাফুজকে আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে জড়িয়ে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই রেজাউল করিম মাহাফুজের ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ তার বন্ধু নুরনবীকে গ্রেফতার করে। শামিরা ইয়াসমিন তমা বলেন, আমার বাবা শাহিনুর ইসলাম আমার স্বামী আল মাহাফুজকে জামাই হিসেবে মেনে নেয় না। ফলে আমার শশুর বাড়ির লোকজনকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগীর বাবা ইলিয়াস হোসেন নয়া শতাব্দীকে বলেন, আমার ছেলে মাহাফুজ শাহিনুর ইসলামের মেয়ের সাথে প্রেম করে বিয়ে করেন। তাদের উভয়ের যথাযোগ্য বয়স হওয়া সত্ত্বেও মেয়ের বাবা শাহিনুর ইসলাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বৌমাকে নাবালক দেখিয়ে অপহরণ মামলা করে হয়রানি করছেন। এজন্য প্রশাসনেরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যায় বিচারের দাবি করেন তিনি।
এঘটনার বিষয়ে জানতে মামলার বাদী শাহিনুর ইসলাম নয়া শতাব্দীকে বলেন, আমি মেয়েকে জন্ম দিয়েছি, আমি জানি আমার মেয়ের বয়স কত। তার দেখানো জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার আইডি কার্ড ভুয়া।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রেজাউল করিম জানান, মামলা করার পূর্বে আমরা ওই মেয়ের সার্টিফিকেট কপি সংগ্রহ করেছি।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ