ঢাকা, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

ভুট্টাক্ষেতে মিলল জীবিত নবজাতক

প্রকাশনার সময়: ১২ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৮ | আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫২

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভুট্টার ক্ষেত থেকে জীবিত এক নবজাতক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হ‌য়ে‌ছে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকা‌লে তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের চড়হামকুড়িয়া গ্রামের পূর্ব পাশের ফসলী মাঠের ভুট্টা ক্ষেত থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত নবজাতককে চিকিৎসার জন্য তাড়াশ ৫০ শয্যা বি‌শিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসার পর নবজাতককে উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের চড়হামকুড়িয়া গ্রামের মো. শামীম রেজার স্ত্রী মোছা. লাবনী খাতুন ছেলেকে নিয়ে বোরো ধানের জমি দেখতে যান। এ সময় ওই বোরো ধানের জমির পাশে ভুট্টার জমিতে তার ছেলে নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনতে পায়। বিষয়টি তার মাকে বললে ভুট্টার ক্ষেতের ভেতরে গিয়ে নবজাতককে দেখতে পান লাবনী খাতুন। বাড়িতে ফিরে এসে তার স্বামীকে বিষয়টি জানালে, স্বামী শামীম রেজাসহ এলাকার লোকজন মি‌লে ভুট্টার ক্ষেত থেকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তাড়াশ ৫০ শয্যা বি‌শিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। বিষয়টি তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে নবজাতককে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মো. শামীম রেজার স্ত্রী মোছা. লাবনী খাতুন বলেন, আমি সকালে ছেলেকে নিয়ে বোরো ধানের জমি দেখতে গেলে ভুট্টার ক্ষেত থেকে ওই মেয়ে বাচ্চাটি দেখতে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসি। পরবর্তী‌তে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় বাচ্চাকে তাড়াশ হাসপাতালে নিয়ে যাই। বর্তমানে বাচ্চাটি সমাজসেবা কার্যালয় আমার জিম্মায় দি‌য়ে‌ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, নবজাতকটি হাসপাতালে আনার পর তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করা হয়। বাচ্চার শারীরিক আবস্থা ভালো এবং সুস্থ আছে।

উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা একেএম মনিরুজ্জামান বলেন, খবরটি জানার পর নবজাতককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে বাচ্চাটি সুস্থ আছে। ইউএনও স্যারের কাছে বাচ্চাটি দত্তক নেওয়ার জন্য অনেকগুলো আবেদন এসেছে। বিকেল ৩টার পর মিটিং করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, থানা প্রশাসনের মাধ্যমে শিশুটিকে রাজশাহী সোনা মনি নিবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা বলেন, বাচ্চাটি দত্তক নেওয়ার জন্য অনেকেই আবেদন করেছেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ মোতাবেক বাচ্চাটিকে রাজশাহী সোনা মনি নিবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ