শুরু হয়ে গেল মুসলমানদের পবিত্র ইবাদতের মাস। প্রথম রোজা ভালোভাবে পালন করতে যে যার সাধ্যমতো কিনছেন বিভিন্ন রকমের ফলমূল। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাড়ানো হচ্ছে জিনিসপত্রের দাম।
সুযোগ বুঝে যে যার মতো যেভাবে পারছে দাম নিচ্ছে। তবে অসহায় ক্রেতারা পণ্য কিনছেন তাদের চাহিদার মূল্যেই। রমজান শুরুর আগের রাতেই কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী।
বগুড়ার সান্তাহারে তারাবির নামাজের আগে কলার হালি ছিল ৩০ টাকা, নামাজের পর সেই কলার হালি ৫০ টাকায় কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। এক ঘণ্টার ব্যবধানে প্রতি হালি কলায় দাম বেড়েছে ২০ টাকা।
তাই দাম বাড়ানো নিয়ে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ক্রেতারা।
কলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, কিনতে হয় বেশি দাম দিয়ে, তাই বিক্রি করার সময় হাতে কিছু টাকা রেখে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সোমবার (১১ মার্চ) রাতে শহরের রেলগেট এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে এমনই চিত্র। তবে, ক্রেতা ও কিছু ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতাদের অতিরিক্ত চাহিদা থাকায় কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ী এ সুযোগ নিচ্ছেন।
প্রথম দিন তারাবির নামাজের আগে ও পরে শহরের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি হালি মানিক কলার দাম ২৫ থেকে ৫০ টাকা, সাগর কলার দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা। যে কলার হালি নামাজের আগে বিক্রি হয় ২৫ থেকে ৩০ টাকা, সেই কলার হালি নামাজের পর বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
পবিত্র রমজান মাসকে ঘিরে দাম বৃদ্ধির এমন অস্থিরতায় ইফতারির তালিকায় কলা রাখার ইচ্ছে মিটে গেছে অনেক ক্রেতার। তারা বলছেন, রমজান মাসে কলার চাহিদা বাড়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ইচ্ছেমতো। কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে! ফলে এই কলা কিনতে ত্রেুতারা অনেকই হিমশিম খাচ্ছেন।
সান্তাহার শহরের রেলগেটে কলা কিনতে আসা বাবু ঢালি নামের এক ক্রেতা বলেন, নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে কলার দাম শুনেছি হালি প্রতি ৩০ টাকা। নামাজ শেষ করে কলা কিনে বাড়ি যাব ভেবে এসে দাম শুনি, প্রতি হালি ৫০ টাকা! নামাজ পড়ার ব্যবধানেই প্রতি হালিতে ২০ টাকা বেড়ে গেলো! এটা কিভাবে মেনে নেওয়া যায়?
ফিরোজ হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, গতকাল যে কলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা হালিতে কিনেছি, সেই কলার দাম একই বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। রোজার কারণে কলার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে কলা বিক্রেতারা বলেন, কলার আড়তে দাম বাড়ার কারণে আমরা বেশি দামে কলা কিনে থাকি। যার ফলে কলা বেশি দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে।
তবে তারাবি নামাজের আগে কলার দাম ৩০ টাকা থাকলেও, নামাজের পর কলার দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি তারা অস্বীকার করে বলেন, দাম আরও আগেই বেড়েছে।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ