ঢাকা, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১০ রজব ১৪৪৬

ভুয়া দলিল ও খতিয়ানে ভূমি দখল, মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ 

প্রকাশনার সময়: ১১ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৭

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় বাকই ইউনিয়নের কোঁয়ার দিঘীর পাড় গ্রামের মিজী বাড়িতে ১২১ নম্বর কোয়ার মৌজায় ভুয়া দলিল খতিয়ান করে ভূমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, ওই গ্রামের কেরামত আলী প্রতিবেশী বৃদ্ধ অসহায় ইউসুফ আলী ও তার ৪ পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি দখল নিয়েছে। অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ করে বাড়ির চতুর্দিক বাঁশ, পিলার, কাটা তারের বেড়া দিয়ে চলাচলে রাস্তা বন্ধ করে জিম্মি করে রেখেছে। গত ৯ মার্চ সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শাহাজাহান। তিনি জানান বাড়ি, শৌচাগার, মসজিদে যাওয়া, ঘর থেকে বের হওয়ার সকল রাস্তায় লোহার তারকাঁটা, সীমানা পিলার বসিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে লাকসাম থানায় জানালে পুলিশ সরেজমিন ঘুরে দেখে কোনো প্রতিকার করেনি। পূর্ব পুরুষ থেকে দফায় দফায় হামলা মামলায় ও আহত করেছে প্রভাবশালী, সন্ত্রাসী, আইন ও বিচার অমান্যকারী বিবাদীরা।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় সামাজিক সু-বিচারের অপেক্ষা করে উল্লেখিত বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ঘটানার সাথে জড়িত ১৫ অপরাধীকে বিবাদী করে ৫ মার্চ কুমিল্লা জেলা প্রশাসক বরাবর ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন। অনুরূপভাবে অভিযোগকারী সচিব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সচিব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। সচিব আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মহাপুলিশ পরিদর্শক (আই.জি.পি)। উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডি.আই.জি) চট্টগ্রাম রেঞ্জ। পুলিশ সুপার কুমিল্লা। সহকারী পুলিশ সুপার লাকসাম ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লাকসাম থানাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সুবিচার প্রার্থনা করেছেন। উক্ত অভিযোগে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিসহ অজ্ঞাতনামা ৫০/৫৫ জনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জন্য আবেদন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানা যায়, আব্দুল কাদের মুন্সি ওই বাড়ির প্রকৃত মালিক ছিলেন। একজন আলেমেদ্বীন ও বড় হুজুর নামে পরিচিত। বিবাদী আলী আহমদ ও অজ্ঞাতনামা কয়েক ব্যক্তি বরিশালের গৌরনদী মসজিদে ইমামতি করার নামে গিয়ে বড় হুজর আব্দুল কাদের মুন্সিকে হারিছে বলে এলাকায় জানায়।এ সুযোগে বড় হুজুরের ভাই জয়নাল আবেদীনকে ভুল বুঝিয়ে প্রায় ৫০ ডিং ভূমি দখলে নেয়। এ বিষয়ে মৌখিকভাবে আলোচনায় কোনো সঠিক দলিলাদি পাওয়া যায়নি।

উল্লিখিত ঘটনায় দীর্ঘদিন ঘর, সীমানাবদ্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সমাজ পতিদের ধারস্থ হয়ে বিচার প্রার্থী হওয়ায় বাদীর পরিবারকে যেখানে যে অবস্থায় পাওয়া যাবে অপহরণ করে প্রাণনাশের চেষ্টায় সন্ত্রাসী অভিযানে এলাকায় থমথমে অবস্থায় বিরাজ করছে। ঘটনা সরেজমিনে পুলিশ খবর নিলেও এ যাবৎ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সুবিচার ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ