ময়মনসিংহের নান্দাইলে একটি বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের কামড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন আহত হয়েছেন। মারা গেছে বেশ কয়েকটি ছাগলও। এতে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।
উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের খারুয়া, নরেন্দ্রপুর ও ফুলবাড়িয়া- এই তিনটি গ্রামে গত দুইমাস ধরে একটি পাগলা কুকুর লোকজনকে কামড়িয়ে আহত করলেও কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেনা।
কুকুরের কামড়ে আহতদের মধ্যে রয়েছেন- আবুল কালাম, তপন মাস্টার, রতন মিয়া, রুহুল আমিন, মফিজ উদ্দিন, স্বপন মিয়া, কামরুল ইসলাম, আফাজ মেম্বার, তপু, আব্দুল মন্নাছ, কালাম মাস্টার, শহীদ মাস্টার, চার বছরের শিশু মরিয়ম আক্তার, ইদ্রিস আলী, রিয়াদ ফরাজি, মজিবুর ও শরীফুল।
সরজমিন রোববার (১০ মার্চ) খারুয়া বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যায় গত দুইমাস ধরে খারুয়া বাজার ও আশপাশ এলাকায় কুকুরটি হঠাৎ মানুষের ওপর চড়াও হয়। এরপরই কামড়ানো শুরু করে।
ভুক্তভোগী কেউ কেউ কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবার কেউ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ইনজেকশন নিচ্ছেন।
রিয়াদ ফরাজি জানান, তাকে কামড় দিয়ে পায়ের কতটুকু মাংসও নিয়ে গেছে কুকুরটি। কিশোরগঞ্জ জেলা সদর থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন তিনি।
শহীদুল্লাহ জানান, কুকুরটি তার ভাই মজিবুর ও শরীফুলকেও কামড়িয়েছে। ভয়ে এলাকার লোকজন এখন ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। জরুরি প্রয়োজনে হাতে লাঠি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
খারুয়া বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া জানান, লোকজন কুকুরটিকে মারার জন্য চেষ্টা করছে। কিন্তু বিষ জাতীয় কোনো কিছু মিশিয়ে খাবার দিলে সেটি খাচ্ছেনা।
খারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসনাত ভূইয়া মিন্টু জানান, বিষয়টি কেউ তাকে জানায়নি। এ বিষয়ে তিনি খোঁজ নিবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, কুকুর পাগল হয়ে থাকলে সেটি নিধন করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের। এক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যান চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে তারা সহযোগিতা করেন।
নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশিদ জানান, উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে কুকুরের কামড়ের কোনো ভ্যাকসিন থাকেনা। সেগুলো জেলা শহরের হাসপাতালগুলোতে পাওয়া যায়।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ