পটুয়াখালীতে ভোট কিনতে গিয়ে ভোটারদের রোষানলের শিকার হয়েছেন পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ।

শুক্রবার (৮ মার্চ) রাত ৯টার দিকে পৌর শহরের পুরান বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় মেয়রের সঙ্গে থাকা যুবলীগ সভাপ‌তি শ‌হিদুল ইসলাম, কর্মী রিয়াজ, রাসেল ও সুমন নামের কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহত সবাই পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহিউদ্দিন ও তার বাহিনী পুরান বাজার এসে সাধারণ ভোটারদের টাকা দিয়ে তাদের প্রতীক জগ মার্কায় ভোট দিতে বলেন। এ সময় পুরান বাজার এলাকার ভোটাররা টাকা নিতে অস্বীকার করলে মেয়র মহিউদ্দিনের সঙ্গে থাকা যুবলীগের সভাপতি ও মেয়রের কয়েকজন কর্মী তাদের উপর চড়াও হয়। আর এতেই ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ তাদেরকে ধাওয়া দেয় ও হামলা করে। ঘটনার সাথে সাথেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই মহিউদ্দিন আহমেদ তার বাসভবনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে মূল ঘটনাকে আড়াল করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। তিনি লাইভে এসে বলেন, আমি আমার কর্মীদের নিয়ে পুরান বাজার দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন আমার ওপরে সন্ত্রাসীরা হামলা চালান। আমি শারীরিকভাবে সুস্থ আছি। আগামীকাল জনগন ভোটের মাধ্যমে তাদের রায় দেবেন।

এ বিষয়ে মেয়র প্রার্থী ডা. মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়ে গেছে। আমি তারপর থেকেই আমার বাসায় অবস্থান করছি। মহিউদ্দিন আহমেদ ও তার বাহিনী আইন অমান্য করে পুরান বাজারে মোটরসাইকেলের শোডাউন করে। ব্যবসায়ীদের টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করেন। প্রশাসন তদন্ত করুক এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করুক, এটাই আমার দাবি।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম (বিপিএম, পিপিএম) জানান, আমরা ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। তদন্ত করে দেখছি। যদি টাকা দিয়ে ভোট কেনার বিষয়টি সত্য প্রমাণিত হয়, তবে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়াশতাব্দী/টিএ