আগামী শনিবার (৯ মার্চ) বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা-পাল্টা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে।
বুধবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঘোড়া প্রতীকর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল মালেক মিয়ার বাড়ির সামনে দুইটি দোকান ভাঙচুর ও ৬টি খড়ের গাদা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনার জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মালেক মিয়া প্রতিপক্ষ অটো গাড়ি প্রতীকর চেয়ারম্যান প্রার্থী এনামুল হক অপুর সমর্থকদের দায়ী করেছেন। অপর দিকে আগের দিন মল্লিকডুবা গ্রামে অটো গাড়ি প্রতীকর প্রার্থী এনামুল হক অপুর সমর্থিত দুই কর্মীর দুটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠিান, একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। এনামুল হক অপু এ ঘটনার জন্য ঘোড়া প্রতীকর কর্মী সমর্থকদের দায়ী করেছেন। এ ঘটনায় দুই প্রার্থী নির্বাচন কমিশনসহ বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এ হামলা ও পাল্টা হামলার কারণে ওই ইউনিয়নের সাধারণ ভোটররা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পরেছেন।
ঘোড়া প্রতীকর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল মালেক মিয়া অভিযোগ করেন, অটো গাড়ির প্রার্থী এনামুল হক অপুর পক্ষে বহিরাগতরা প্রতিদিন এক-দেড়শ মোটরসাইকেল নিয়ে এলাকায় মহড়া দিচ্ছে। তার কর্মী সমর্থকদের প্রচারে বাধা দিচ্ছে। তার ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। অভিযোগ করেও তিনি কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।
উল্লেখ্য, এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকুর মৃত্যুর পর ৯ মার্চ উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। মোট ৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, এনামুল হক অপু অটো গাড়ি প্রতীক, আবদুল মালেক ঘোড়া প্রতীক, জিয়াউল হক সুজন টেবিল ফ্যান প্রতীক, আবুল কালাম অজাদ তুহিন আনারস প্রতীক ও মোসাম্মৎ লতুফা বেগ চশমা প্রতীক। এ ৫ প্রাথীই আওয়ামী লীগের পদধারী। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ২৯০ ভোট।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী বলেন, যেকোনো মূল্যে ওই ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ করা হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ