ঢাকা, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

‘অগ্নিকাণ্ডকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা চিনি নিয়ে কারসাজি করতে পারে’

চিনির গুদামে অগ্নিকাণ্ড
প্রকাশনার সময়: ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫০ | আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৬

পরিশোধিত চিনির মজুদ অক্ষত থাকায় দুই-এক দিনের মধ্যে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে সরবরাহ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পগ্রুপটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম। একইসঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চিনি নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা ছিনিমিনি খেলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, কিছু ব্যবসায়ী আছেন যারা এই ধরনের পরিস্থিতিকে পুঁজি করতে চান। তবে, আমাদের কাছে ইতোমধ্যে সরবরাহ করার জন্য চিনির পর্যাপ্ত স্টক রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে এগুলো ঠিক হয়ে যাবে।

রমজানে চিনির সরবরাহে এই অগ্নিকাণ্ড প্রভাব ফেলবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একটি গোডাউনে আগুনে লেগে চিনির কাঁচামাল পুড়ে গেছে। তা অপরিশোধিত চিনি ছিল। তবে এসবকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দুই একদিনের জন্য কারসাজি করতে পারে। তবে এগুলো ঠিক হয়ে যাবে। দুই একদিন পর থেকে প্রোডাকশন শুরু হয়ে যাবে। প্রোডাকশন চালু করবো এবং বানানো মাল আছে। তা দিয়ে এক সপ্তাহ মিনিমাম চলবে। প্রোডাকশনে যেতে লাগবে দুইদিন। আর সমস্যা হবে না। এগুলো সমস্যা নেই, চিনিরও সমস্যা নাই।

সূত্র জানায়, এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনির গুদামে আগুন লেগেছে। পাশের ফিনিশড সুগারের গুদাম ও চিনি পরিশোধনের যন্ত্রপাতির ইউনিটগুলো অক্ষত আছে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে চিনির কাঁচামাল এনে পরিশোধন করা হয় দুইটি প্লান্টে। এর মধ্যে প্লান্ট ১ এর উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ৯০০ টন, প্লান্ট ২ এর উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ টন। থাইল্যান্ড ও ফ্রান্সের প্রযুক্তি ও কারিগরি সহায়তায় এ কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে।

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ