ঢাকা, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

স্বামী-ভাসুরের নির্যাতনে লাশ হলো গৃহবধূ!

প্রকাশনার সময়: ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৩

বগুড়ার আদমদীঘিতে স্বামী-ভাসুরের নির্যাতনের শিকার হয়ে লাভলী বেগম লিবেন (৩০) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের তালশন গ্রামে স্বামীর বাড়িতে শয়নঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ঝুলন্ত ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় দুপুরেই নিহতের স্বামী ও ভাসুরের নামে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন গৃহবধূর বাবা সান্তাহার ইউপির উথরাইল জাহানাবাজ গ্রামের আনছার আলী।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৫ বছর আগে লাভলী বেগমের সঙ্গে আবুল কাশেম মন্ডলের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। পারিবারিক ছোটখাটো বিষয় নিয়ে প্রায়ই গৃহবধূ লাভলীকে মারধর করতেন স্বামী আবুল কাশেম। অন্যদিকে ওই গৃহবধূকে নানা ধরনের অপমানজনক কথা এবং ফাঁস দিতে বলতেন তার ভাসুর (স্বামীর বড় ভাই) দুলাল হোসেন।

মঙ্গলবার সকালেও স্বামী আবুল কাশেম স্ত্রী লাভলীকে মারধর করছিলেন। এ কারণে লাভলী বেগম তার বাবাকে মোবাইল ফোনে স্বামীর বাড়িতে দ্রুত ডেকে নেন। খবর পেয়ে বাবা আনছার আলী মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হলে মেয়েজামাই ও তার বড় ভাই দুর্ব্যবহার করায় তিনি নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। তবে তার ছেলে পারভেজ ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।

এক পর্যায়ে আবুল কাশেম কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ির বাইরে যান। কিছুক্ষণ পর তিনি ফিরে এসে দেখেন, ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলছে তার স্ত্রী। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লাভলীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আনছার আলী বাদী হয়ে মেয়েজামাই আবুল কাশেম মন্ডল ও তার বড় ভাই দুলালের নামে একটি এজাহার দিয়েছেন।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ