ঢাকা, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১০ রজব ১৪৪৬

বাড়িতে হাঁটু পরিমাণ ড্রেনের ময়লাযুক্ত পানি, ভোগান্তিতে পরিবার

প্রকাশনার সময়: ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:০০

জামালপুরের মাদারগঞ্জের শ্যামগঞ্জ কালীবাড়ি বাজারের ড্রেনে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একটি হিন্দু পরিবারের বাড়িতে ড্রেনের দূষিত ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে ৮ মাস ধরে। দূষিত ময়লা পানি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, এতে চরম ভোগান্তিতে পরিবারটি।

উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ কালীবাড়ি বাজারের জগলু মোহন চৌধুরীর বাড়িতে বাজারের ড্রেন উপচে ময়লাযুক্ত পানি ঢুকেছে।

শনিবার (২ মার্চ) সরেজমিনে দেখা গিয়ে গেছে, 'জগলু মোহন চৌধুরীর বাড়ির গেটে ঢুকতেই উঠানে হাঁটু পরিমাণ ময়লাযুক্ত পানি দেখা যায়। পানি থেকে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ। তবুও বাধ্য হয়েই ঘরের বারান্দায় রান্না করছে জগলু মোহন চৌধুরীর ভাইয়ের মেয়ে। ময়লা পানি জমে কালো কুচকুচে হয়েছে, পানিতে মশা ও মাছি ভনভন করছে।

খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, বাজারের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের ব্যবস্থা থাকলেও ড্রেন থেকে পানি নেমে যাওয়ার মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। বাজারের পূর্ব পাশ দিয়ে পানি নেওয়া যাই। ড্রেনের মুখে মাটি ও ময়লা জমে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে ড্রেন উপচে জগলু মোহন চৌধুরীর বাড়িতে ৮ মাস ধরে পানি ঢুকেছে। এ ছাড়াও বৃষ্টি হলেই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ আশপাশে কয়েকটি বাড়িতে পানি ঢুকে তৈরি হয় জলবদ্ধতা।

জগলু মোহন চৌধুরী বলেন,‘বাজারের ড্রেনে পানি উপচে আমার বাড়ির ভিতরে ঢুকেছে, প্রায় ৭-৮ মাস ধরে এই অবস্থা। পানির দুর্গন্ধে এখানে আর থাকা যাচ্ছে না। খুব কষ্টে রয়েছি। আমার ভাইয়ের মেয়ে এখান থেকে চলে গিয়েছে। মশার কামড়ে যন্ত্রণায় আর থাকতে পারছি না। এনিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেবকে বারবার অনুরোধ করার করার পরেও কোনো সমাধান পাইনি ‘

শ্রী পলাশ চৌধুরী মিলন বলেন, বাজারের পানি নেমে যাওয়ার জন্য ড্রেনের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই বাজারের মলমূত্র পচা পানি বাড়ির ভিতরে ঢুকে উপচে যায়। দুর্গন্ধে থাকা যায় না তখন। যুগল মোহন এখন খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছে। বৃষ্টি হলে আমার দোকানের মধ্যেও পানি ঢুকে পড়ে।

সিধুলী ইউনিয়ন পরিশোধের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মিরন বলেন,'অতি বৃষ্টির কারণে ড্রেনের মুখে মাটি পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে। মাটি কিছুটা সরানো হয়েছে। ড্রেনের মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। সুন্দরভাবে ড্রেন মেরামত করে দিবো আর কোনো জলবদ্ধতা থাকবে না।

মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, এই বিষয়টি আমাকে কেউ জানাইনি, আপনার কাছ থেকে জানলাম। আমি এই এলাকায় অনেকদিন ধরেই রয়েছি, আমাকে জানালে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতাম।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ