ঢাকা, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১০ রজব ১৪৪৬

নেই রেলিং, ব্রিজ যেন মরণ ফাঁদ!

প্রকাশনার সময়: ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪০

যেন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আইহাই ইউনিয়নের মালীপুর খালের উপর ভাঙাচোরা ও জরাজীর্ণ একটি ব্রিজ। ব্রিজের রেলিং ভেঙে গেছে। ফাটল ধরেছে বিভিন্ন অংশে। যে কোন মূহুর্তে ধ্বসে পড়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। এই ব্রিজ দিয়েই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছে ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ।

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আইহাই ইউনিয়নের মালীপুর ভালকিডাঙ্গা গ্রামের মাঝামাঝি একটি খালের উপর নির্মিত ব্রিজটি এমন বেহাল দশা দীর্ঘ পাঁচ-ছয় বছর ধরে। রেলিং না থাকায় প্রায়শই এই ব্রিজে ঘটছে দুর্ঘটনা। এর মধ্যে মালীপুর গ্রামের ছমির উদ্দীনের ছেলে মোবারক (৪০) নামে এক জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা। এছাড়াও গত এক বছরে এই ব্রিজে মোটরসাইকেল, ভ্যান, অটো দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।

সরেজমিনে ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৩৫ বছর পূর্বে ১৯৯০ সালের দিকে মালীপুর ভালকিডাঙ্গা একটি খালের উপর ইটের গাঁথুনি উপরে ছাদ দিয়ে এই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। গত পাঁচ ছয় বছর আগে ব্রিজের দুই পাশের রেলিং ভেঙে পড়ে যায়। পরবর্তীতে ব্রিজের নিচের অংশে ইটের গাঁথুনিতে মারাত্মক আকারের ফাটল ধরে। যা এখন ধীরে ধীরে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে রেলিং না থাকায় একদিকে যেমন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা অন্যদিকে রয়েছে ব্রিজ ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে এই সড়ক দিয়ে ভারি কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে ওই এলাকার লোকজনের কোথাও যাওয়া-আসা ও যাতায়াতে চরম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ওই এলাকার বাসিন্দা তারেক রহমান, সোলাইমান, মাহবুর রহমানসহ স্থানীয়দেন অভিযোগ, ব্রিজটি ভাঙাচোরা ও জরাজীর্ণ অবস্থায় প্রায় দীর্ঘ পাঁচ ছয় বছর অতিক্রম করলেও কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই ব্রিজে রেলিং না থাকার কারণে গত এক বছরে ছোট বড় দুর্ঘটনায় মোজাহারুল ও আ. রহিম নামে দুইজন আহত এবং মোবারক নামে একজন নিহত হয়েছেন। অতিদ্রুত ব্রিজটি নতুন ভাবে নির্মাণ করে পথচলা সুগম করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান তারা।

আইহাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউজ্জামান টিটু মাস্টার বলেন, ‘ইউনিয়নের উত্তর অংশের অধিকাংশ লোকজন ওই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করে। বর্তমানে ব্রিজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ব্রিজের রেলিং না থাকায় দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রাশয়ই। ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণের জন্য এলজিইডির ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি।’

উপজেলা প্রকৌশলী তাহাজ্জুদ হোসেন বলেন, ‘ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণের জন্য ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা হবে।’

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ