চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সোমবার (৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তিনি আরও জানান, পুরোপরি আগুন নির্বাপণ করতে ভোর পর্যন্ত লাগতে পারে।
এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে কারখানার গোডাউন থেকে বিকেলে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৮ ইউনিট, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানার ইছানগর এলাকার চিনি মিলটির গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে কর্ণফুলী ও আনোয়ারা ফায়ার স্টেশন আগুন নেভাতে কাজ করছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডের পরপরই আগুনের লেলিহান শিখা ও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চিনি কারখানার গোডাউন। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাণপণ চেষ্টা চালান। আগুনের লেলিহান শিখায় আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মিলের কর্মকর্তারা বলছেন, চিনির মিলের ছয়টি গোডাউনের মধ্যে একটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানে আমদানি করা এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি রাখা ছিল। মিলটির গোডাউনে রাখা অপরিশোধিত চিনিগুলো জ্বললেও এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে চিনির কাঁচামাল এনে পরিশোধন করা হয় দুইটি প্লান্টে। এর মধ্যে প্লান্ট ১ এর উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ৯০০ টন, প্লান্ট ২ এর উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ টন। থাইল্যান্ড ও ফ্রান্সের প্রযুক্তি ও কারিগরি সহায়তায় এ কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে।
এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের পাওয়ার প্লান্টের সহকারী ফিটার মনির জানান, ওই গুদামে প্রায় ১ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। এগুলো পুড়ে গেছে। কাছেই পরিশোধিত চিনি আছে আরও কয়েক লাখ টন।
নয়া শতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ